|
|
|
|
কিশোরীর মৃত্যু সুতিতে, ঠাকুমা গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সুতি |
এক কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে পুলিশ তার ঠাকুমাকে রবিবার গ্রেফতার করেছে। সুতি থানার বালিয়াঘাটি গ্রামের বাসিন্দা হুমেরা খাতুন নামে ওই কিশোরীর বাবা আক্রাম শেখও অভিযুক্ত। আক্রাম অবশ্য এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। ওই কিশোরীর মা রিনা বিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, হুমেরাকে জোর করে বিষ খাইয়ে খুন করেছে তাঁর শাশুড়ি ও স্বামী। পুলিশ জানিয়েছে, মদ্যপ স্বামীর অত্যাচারে দু’মাস আগে ছোট মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান রিনা বিবি। তাঁর বাপের বাড়ি বীরভূমের বাঁশলৈ গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, রিনা বিবি ও তাঁর মেয়ে হুমেরা বিড়ি বেঁধে যা রোজগার করতেন, তা আক্রাম শেখ ও তার মা জোর করে কেড়ে নিত। ফলে ঠিক মতো সংসার চলত না। তাই নিয়ে প্রতিবাদ করলে মারধর করা হত। রিনা বিবি অতিষ্ঠ হয়ে চলে যাওয়ার সময় হুমেরাকে অবশ্য বাবা ও ঠাকুমার কাছেই রেখে গিয়েছিলেন। হুমেরা শনিবার বিড়ি বাঁধার সপ্তাহের রোজ পেয়েছিল। সেই ১৯০ টাকা সে ঠাকুমাকে দিয়েও দেয়। কিন্তু তার থেকে ১০০ টাকা হারিয়ে যায়। সন্দেহ গিয়ে পড়ে হুমেরার উপরেই। এই নিয়েই সন্ধ্যাবেলা তাকে প্রচণ্ড মারধর করে বাবা ও ঠাকুমা। কিন্তু তাতেও শেষ হয়নি। রিনাবিবির অভিযোগ, রাতে জোর করে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় হুমেরার মুখে। এতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। কিন্তু প্রতিবেশীরা কিছু ক্ষণ পরে তা জানতে পারেন। তাঁরা এসে জোর করে হুমেরাকে স্থানীয় এক হাতুড়ের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তার। এরপরে ক্ষিপ্ত প্রতিবেশীরা চড়াও হন ওই বাড়িতে। আক্রাম পালিয়ে যায়। তার ঠাকুমাকে আটকে রাখেন গ্রামের মানুষ। সকালে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। হুমেরার মামা রাকিব শেখ বলেন, “ভাবতেই পারছি না, কোনও বাবা তার নিজের মেয়েকে এই ভাবে খুন করতে পারে।” রিনা বিবির কথায়, “আমি চাই স্বামী ও শাশুড়িকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।” |
|
|
|
|
|