|
|
|
|
লিগ জয়ের সামনে হিন্দ |
অভ্যুদয়ের কাছে হারল ব্রজভূষণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
অভ্যুদয়ের কাছে ৪-০ গোলে হেরে লিগ চ্যাম্পিয়নের দৌড় থেকে ব্রজভূষণ স্মৃতি সমিতি ছিটকে যাওয়ায় হিন্দ ক্লাবের লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা!
লিগে হিন্দ ক্লাবের শেষ ম্যাচ অভ্যুদয়ের সঙ্গে আগামী ২৮ অগস্ট। ওই ম্যাচে হিন্দ যদি হেরেও যায়, তাহলেও গোল পার্থক্যে অনেকটা এগিয়ে থাকবে হিন্দই। লিগ চ্যাম্পিয়ান হতে হলে শেষ ম্যাচে অভ্যুদয়কে ৫-০ গোলে জিততেই হবে। কেননা, হিন্দ ২২টি গোল দিয়েছে, বিপক্ষ গোল দিয়েছে ২টি। অভ্যুদয় গোল দিয়েছে ১৬টি, বিপক্ষ দিয়েছে ৪টি। |
|
জমে উঠেছে লিগের খেলা। নিজস্ব চিত্র। |
তাই রবিবার বহরমপুর ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব ময়দানে ব্রজভূষণ হেরে যাওয়ায় অভ্যুদয়ের সঙ্গে লিগের শেষ ম্যাচ হিন্দ ক্লাবের কাছে কার্যত নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত হয়েছে বলে ফুটবল মহল মনে করছে। হিন্দ ক্লাবের অন্যতম কর্তা শেখর রায়ের গলায় প্রত্যয়ের সুর। তিনি বলেন, “লিগের যা পরিস্থিতি তাতে চ্যাম্পিয়ান হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।” ফলে এদিনের ম্যাচ জিতে অভ্যুদয় ক্লাবকর্তা থেকে সমর্থকদের চেয়ে বেশি উল্লাস ছিল হিন্দ ক্লাব শিবিরে।
তবে এদিনের ম্যাচ হেরে গিয়ে ব্রজভূষণের দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তেমনি পয়েন্টের বিচারে দ্বিতীয় স্থান কোন দল পাবে তাও নির্ভর করছে বালার্ক ও ভ্রাতৃ সংঘের ম্যাচের ফলাফলের উপরে। এই মুহূর্তে বালার্কের মোট পয়েন্ট ১৬। তারা যদি ভ্রাতৃসংঘকে পরাজিত করে, তাহলে ১৯ পয়েন্ট পেয়ে তারা চতুর্থ স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে। অন্য দিকে অভ্যুদয়-হিন্দ ড্র হলে অভ্যুদয় ও ব্রজভূষণের সম-সংখ্যক পয়েন্ট (১৮) হবে। সব মিলিয়ে গত কয়েক বছরের মধ্যে এমন জমজমাট লিগ দেখেনি বহরমপুরের ফুটবলপ্রেমী দর্শক।
ব্রজভূষণের কর্তা চন্দন সরকার বলেন, “দুটি হলুদ দেখার জন্য ক্লাবের অন্যতম ফুটবলার আমির লাকরা এদিন মাঠে নামতে পারেনি। সেই সঙ্গে আমাদের এক নম্বর গোলকিপার পিন্টু মাহাতো ১০২ জ্বর নিয়ে খেলেছে। খেলা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে তুলে নিতে হয়েছে। যদিও অভ্যুদয় ভাল খেলেছে বলেই জিতেছে।” এ দিন ম্যাচে অভ্যুদয়ের পক্ষে আশিস বিশ্বাস ২টি এবং বাকি ২টি গোলগুলি করেন সনাতন দাস ও সুশীল সরকার। ম্যাচ পরিচালনার জন্য কলকাতা থেকে দুজন রেফারি এসেছিলেন। ফিফা রেফারি রামকৃষ্ণ ঘোষ ছাড়াও ছিলেন অরুণ চক্রবর্তী। |
|
|
|
|
|