টুকরো খবর |
|
বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উভয়পক্ষের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
জঙ্গিপুর কলেজে এসএফআই ও ছাত্র পরিষদের মধ্যে শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি দলের ২৭ জন কর্মী ও নেতার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা, ছিনতাই, মারদাঙ্গা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল পুলিশ। এই সংঘর্ষের পরে জঙ্গিপুরে এখনও ডান ও বাম দুই শিবিরেই চাপা উত্তেজনা। তবে রবি ও সোমবার পরপর দু’দিন কলেজ বন্ধ থাকায় উত্তেজনা প্রশমিতও হয়ে যাবে বলে প্রশাসনের ধারণা। এসএফআই অবশ্য মঙ্গলবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ওই দিনই শহরে পাল্টা মিছিল করবে ছাত্র পরিষদ। ওই সংঘর্ষের পরে অনেকেই ছাত্রাবাস ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তবে দুই সংগঠনেরই বক্তব্য, গণ্ডগোল পাকিয়েছে বহিরাগতেরা। তার ফলে কলেজের ১১ ছাত্র আহত হন। এসএফআইয়ের জোনাল কমিটির সভাপতি প্রকাশ ঘোষ বলেন, “বহিরাগতদের কলেজে এনে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে ছাত্র পরিষদ।” ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশ সাহার অভিযোগ, “বহিরাগতদের নিয়ে এসেছিল এসএফআই-ই। কলেজে বহিরাগতদের ঢোকা বন্ধ করতে হবে।” কলেজের অধ্যক্ষ আবু এল শুকরানা মণ্ডলের দাবি, “বহিরাগতদের কলেজে ঢোকা নিষিদ্ধ। কিন্তু কেউই তা মানছে না।”
|
স্টেশনে মৃত আইনজীবীকে অজ্ঞাতপরিচয় বলায় ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
স্টেশনে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে কালনা আদালতের এক আইনজীবীর মৃত্যুর পরে তাঁকে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ বলায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিধুভূষণ চৌধুরী (৬২) নামে ওই আইনজীবী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। বাড়ি সমুদ্রগড়ের চাঁপাহাটিতে। রবিবার সকালে তিনি নবদ্বীপধাম স্টেশনে পৌঁছে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বড় ছেলে দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “ভোর বেলা চার কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে এসে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। টিকিট কাউন্টারের সামনেই প্রতীক্ষালয়েই ছিলেন তিনি। কিন্তু কেউই তাঁকে দেখেননি। প্রায় তিন ঘণ্টা পরে তাঁকে নবদ্বীপ হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্টেশন কর্তৃপক্ষ উদাসীন ছিলেন বলেই বাবার ঠিক সময়ে চিকিৎসা হয়নি।” তাঁর দাবি, “বাবার মোবাইল বার করে আমাদের ফোন করা হয়, অথচ হাসপাতালে পাঠানোর সময় বলা হয় অজ্ঞাতপরিচয়।” পূর্বস্থলীর বিধায়ক স্বপন দেবনাথ বলেন, “পরিচয় জানার পরেও কী করে তাঁকে অজ্ঞাতপরিচয় বলে হাসপাতালে পাঠানো হল, তা বোঝা যাচ্ছে না।” নবদ্বীপধামের স্টেশন ম্যানেজার ও রেলপুলিশ কিন্তু পরস্পরের উপরে দোষ চাপিয়েছে। স্টেশন ম্যানেজার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “এ সব ক্ষেত্রে রেলপুলিশই যা লেখার লেখেন। তাঁরা আমাদের বলেছেন, ওই ব্যক্তির পরিচয় পরে পাওয়া গিয়েছিল, তার আগেই কাগজপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল।” নবদ্বীপের জিআরপি’র আধিকারিক দিলীপকুমার মণ্ডলের কথায়, “স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানান ওই ব্যক্তি অজ্ঞাতপরিচয়।”
|
বহিষ্কৃত সানু শেখ ফিরলেন কংগ্রেসে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
ফরাক্কার বহিষ্কৃত জেলা পরিষদ সদস্য সানু শেখকে দলে ফেরাল কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনে দলের ঘোষিত প্রার্থী মইনুল হকের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ প্রার্থী হিসেবে ফরাক্কা বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই করেন সানু। তারপরেই প্রদেশ কংগ্রেস বিক্ষুব্ধ হয়ে যে ১৩ জন ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের সকলকেই বহিষ্কার করে দেন। তবে তার বেশ কয়েক মাস পরে সানু আবার ফিরে এলেন। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ফরাক্কার বিধায়ক মইনুল বলেন, “অতীতে যা ঘটেছে, তা আর মনে রাখতে চাই না আমরা। জেলা কংগ্রেস ও প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেই তাঁকে ফিরিয়ে আনা হল।” সানু নিজে বলেন, “আমি কংগ্রেসের লোক। দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, কিন্তু আবার দলে ফিরে আসায় খুব খুশি।”
|
খুন, যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলাকে খুনের দায়ে দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক। সামশেরগঞ্জের দোগাছি গ্রামে ১৯ বছর আগে ওই ঘটনা ঘটেছিল। পরদিন বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাঠের মধ্যে রমিশা বেওয়া নামে বছর তিরিশের ওই মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
|
ভাসল চার গ্রাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
বন্যায় ভাসল ফরাক্কার গঙ্গার চর এলাকার চারটি গ্রাম। গ্রামগুলি ফরাক্কা এলাকার হলেও সবকটিই মালদহের বৈষ্ণবনগর লাগোয়া। ফরাক্কার বিডিও অনন্ত সরকার জানান, ফরাক্কার তিনটি পঞ্চায়েত এলাকার কুলিদিয়ার, পার সুজাপুর, হোসেনপুর চর ও খাসপাড়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। গ্রামের একমাত্র পিচ সড়কটির চকবাহাদুরপুর মোড় থেকে তিন কিলোমিটার প্রায় কয়েকফুট জলের তলায়। গঙ্গার জলস্ফীতির ফলে ওই সব গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষ জলবন্দি।
|
প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
নবদ্বীপের প্রাক্তন বিধায়ক ও পুরপ্রধান বিশ্বনাথ মিত্রের (৭৬) মৃত্যু হয়েছে শনিবার সকালে। ১৯৮৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পরপর তিন বার তিনি নবদ্বীপের বিধায়ক হন। ১৯৮১ থেকে ৯০ পর্যন্ত ছিলেন পুরপ্রধান। |
|