|
|
|
|
গড়বেতা থানার পুকুরের জল ছেঁচে তল্লাশি সিআইডির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর ও কলকাতা |
এ বার সিআইডি-র উপস্থিতিতে জল ছাঁচা শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানা চত্বরের ভিতরের পুকুরে।
রবিবার ভোর থেকে ১১টি পাম্প চালিয়ে জল তোলা শুরু হয়। জল কিছুটা কমতে পুকুরপাড়ে থাকা কলাবাগানের কাছে খোঁড়াখুঁড়িও করা হয়। সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে কেন এই জল ছাঁচা বা খোঁড়াখুঁড়ি তা নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’ রয়েছে। জেলা পুলিশের কর্তারাও এ ব্যাপারে বিশেষ একটা মন্তব্য করতে চাননি। পক্ষান্তরে সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশনস) কে জয়রামন বলেন, “সিআইডি-র তরফে ওখানে কিছু করা হয়নি। যা করার, জেলা পুলিশই করেছে। আমাদের অফিসারেরা ওখানে ছিলেন।” তবে কেন ওই তল্লাশি, কঙ্কাল-কাণ্ডের সঙ্গে এ দিনের ‘কর্মকাণ্ডের’ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, সে প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেননি। |
|
গড়বেতা থানা চত্বরের পুকুরে জল ছেঁচে তল্লাশি সিআইডির। নিজস্ব চিত্র। |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন নিয়মিত মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল পাওয়া যাচ্ছে। মাটি খুঁড়ে এবং পুকুর থেকে মিলেছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও। অস্ত্রের সন্ধানে নিয়মিত জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে একাধিক পুকুরে। কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ আপাতত জেল-হেফাজতে। ওই ‘দাপুটে’ সিপিএম নেতার সঙ্গে জেলা পুলিশের একাংশের ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে বারেবারেই অভিযোগ করেছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষিতেই কি প্রাক্তন মন্ত্রীর এলাকার ওই থানার পুকুরে ‘কিছু’ পাওয়ার আশা করছে কঙ্কাল-কাণ্ডের তদন্তের ভারপ্রাপ্ত সিআইডি? জবাব মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের ‘অভিযানে’ সিআইডি-র খড়্গপুর শাখার অফিসারদের নিয়ে যাওয়া হয়নি। ডিআইজি-র (অপারেশনস) নেতৃত্বে কলকাতা থেকেই সিআইডি-র একটি দল গড়বেতায় হাজির হয়। ভোর থেকে শুরু হয় পুকুর থেকে জল তোলার কাজ। বিকেল নাগাদ জল কিছুটা কমলে পুকুরপাড় লাগোয়া কলাবাগানের দিকে বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে ৫ জন শ্রমিককে লাগিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজও শুরু হয়। ফুট পাঁচেকেরও বেশি গর্ত করার পরেও কিছু না মেলায় মাটি খোঁড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ, সোমবারও ফের ওই পুকুরের জল ছাঁচা ও খোঁড়াখুঁড়ি হতে পারে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই ‘পরিস্থিতি’তে থানা চত্বরের ‘সুরক্ষিত’ পুকুর থেকে কী মিলতে পারে তা নিয়ে জেলা পুলিশের কর্মীদের মধ্যেও শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। ‘তেমন কিছু’ মিললে বাম-জমানায় রাজ্য পুলিশের ‘ভূমিকা’ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছেন কিছু পুলিশ-কর্তা। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “আমরা অনুমান করছি, কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্তদের জেরা করে সিআইডি এমন কিছু তথ্য পেয়েছে, যার ভিত্তিতে গড়বেতা থানার পুকুরেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই।” |
|
|
|
|
|