|
|
|
|
যুবককে পিটিয়ে খুন কোন্নগরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোন্নগর |
কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক যুবককে পিটিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নগরের রেললাইন-সংলগ্ন একটি বন্ধ কারখানার পাশে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম মদন টাটোয়া (২৫)। তাঁর বাড়ি কোন্নগরের মুখার্জিবাগান লেনে। কাজ করতেন রিষড়ার একটি রং তৈরির কারখানায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কারখানা থেকে সাইকেলে চেপে বের হন ওই যুবক। তাঁর সঙ্গে এক সহকর্মী ছিলেন। অভিযোগ, কোন্নগরের ধর্মডাঙার কাছে একটি বন্ধ সিল্ক কারখানার সামনে নির্জন রাস্তায় মদনের পথ আগলে দাঁড়ায় তিন দুষ্কৃতী। তাঁকে ঝোপে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই যুবকের সঙ্গী প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি ভয়ে চলে যান। এর পরেই দুষ্কৃতীরা মদনকে বেধড়ক মারধর করে। ভারি কিছু দিয়ে শরীরের নানা জায়গায় আঘাত করা হয়। পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
ইতিমধ্যেই মদনের ওই সহকর্মী পাড়ায় গিয়ে খবর দেন। খবর দেওয়া হয় উত্তরপাড়া থানাতেও। পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ অন্ধকারে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে মদনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রবিবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে দেহের ময়না-তদন্ত করা হয়।
তবে, কারা ওই যুবককে খুন করল, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা। মদনের বাড়ির লোক এবং পরিচিতদের দাবি, ওই যুবকের কোনও শত্রু ছিল না। এলাকায় তিনি ভাল ছেলে বলেই পরিচিত ছিলেন।এক সময় এলাকা দখল এবং দুষ্কৃতীদের অভ্যন্তরীন গোলমালের জেরে রিষড়া এবং কোন্নগরের রেললাইন-লাগোয়া এলাকা ত্রস্ত হয়ে থাকত। কত কয়েক দশকে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেছে সেখানে। কিন্তু, কিছু দিন যাবত ওই এলাকায় খুনজখমের ঘটনা সে ভাবে ঘটেনি। তার উপর, হুগলির এক সময়ের ত্রাস হুব্বা শ্যামল কিছু দিন আগে খুন হয়ে গিয়েছে। শিল্পাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ানো রমেশ মাহাতো, নেপু গিরি বা চিকুয়াদের মতো দুষ্কৃতীরা জেল খাটছে। এই পরিস্থিতিতে কারা কী উদ্দেশ্যে ওই যুবককে খুন করল, তদন্তকারীদের তা ভাবাচ্ছে। এ দিন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) অমিতাভ বর্মা ঘটনার তদন্তে যান। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “নিহতের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা বা রেষারেষির জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|