|
|
|
|
শান্তির লক্ষ্যে নাগা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি মৈত্রী বৈঠকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নাগা জঙ্গি আন্দোলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিন হয়ে উঠল ২০ অগস্ট, ২০১১। দীর্ঘদিনের বিবাদ মিটিয়ে ফেলে, নাগা সমস্যা সমাধান ও স্থায়ী শান্তির স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হল এনএসসিএন (আই-এম), এনএসসিএন (খুলে-কিতোভি) এবং এফজিএন। গত কাল দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে যৌথ বৈঠকে মিলিত হন তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। তবে, খাপলাং বাহিনী ও এনএনসি (অ্যডিনো) ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ না নেওয়ায় সার্বিক মৈত্রী এ বারেও ঘটল না। ১৯৯৭ সালে, আই এম-এর সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করে সরকার। পরে এনএনসি ও খাপলাংদের সঙ্গেও সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হয়েছে। তবে, শান্তি আলোচনা শুরু হয়নি।
গত বছরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মুইভা ও খাপলাং গোষ্ঠীকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, নাগা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি যতদিন না নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বসম্মত দাবি তুলে ধরতে পারছে, ততদিন স্থায়ী শান্তি আসা সম্ভব নয়। এরপরেই, মুইভা বা আই-এম গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক থুইংলেং মুইভা গোটা নাগাল্যান্ড ঘুরে মৈত্রী প্রক্রিয়ার সূচনা করেন। ফোরাম ফর নাগা রিকনসিলিয়েশনও (এফএনআর) ২০০৮ সাল থেকেই নাগা জঙ্গিদের মধ্যে উপজাতিগত দ্বন্দ্ব ঘুচিয়ে সদ্ভাব স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আই-এম ও খাপলাং বাহিনীর মধ্যে তিনটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচও খেলিয়ে ফেলেছে তারা। কিন্তু খেলার মাঠ থেকে ফিরেই যে কে সেই। গত বছর ডিসেম্বর মাসেও, অরুণাচল-মায়ানমার সীমান্তে এলাকা দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীতে ব্যাপক লড়াই হয়। এই বছরও লড়াই চলে দফায়-দফায়। শেষ অবধি জুন মাসে এনএসসিএন (খাপলাং) বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নাগাল্যান্ডের খেহয় সদর দফতরকে কেন্দ্র করে খুলে কন্যাক ও কিতোভি জিমোমির গোষ্ঠী কাজ চালাচ্ছে। খোদ খাপলাং রয়েছেন মায়ানমারে। খুলে-কিতোভি, মুইভার সঙ্গে আলোচনার পরে ঐক্য প্রক্রিয়ায় রাজি হলেও খাপলাংরা জানিয়ে দিয়েছেন যুদ্ধের রাস্তা থেকে সরবেন না। খুলে-কিতোভি বাহিনীর সঙ্গে খাপলাংদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষও চলছে। পাশাপাশি, নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিন (আ্যাডিনো) জানায়, তারা শান্তি প্রক্রিয়া বা মৈত্রী বৈঠকে যোগ দেবে না।
তবে মৈত্রী বৈঠক বাতিল করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতেও কাল ডিমাপুরে মৈত্রী বৈঠকে মিলিত হন এনএসসিএন-এর চেয়ারম্যান আইজ্যাক চিশি সু ও সাধারণ সম্পাদক থুইংলেং মুইভা, খুলে এবং কিতোভি ও এফজিএন সংগঠনের প্রধান এস সিংগন্যা। বৈঠকের পরে রাত্রে এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, “বৃহত্তর নাগা স্বার্থে ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে আমরা একজোট হলাম।” |
|
|
|
|
|