|
|
|
|
ফের সল্টলেকে চুরি, গ্রেফতার পরিচারিকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ফের চুরি সল্টলেকে। এ বার বি এ ব্লকে। পুলিশ জানায়, রবিবার বি এ-১৫৭ নম্বর বাড়ির গৃহকর্ত্রী ইন্দ্রাণী মিত্র বিধাননগর (উত্তর) থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর আলমারি থেকে সোনা এবং হিরের বেশ কিছু গয়না খোয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইন্দ্রাণীদেবীর পরিচারিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, অসুস্থ ইন্দ্রাণীদেবী একাই থাকেন। তাঁর দুই মেয়ে থাকেন বিদেশে। বাড়ির একতলায় থাকেন কেয়ারটেকার। ওই বৃদ্ধা পুলিশকে জানিয়েছেন, রবিবার সকালে তিনি দেখেন আলমারির লকার ভাঙা। ভিতর থেকে দামি গয়না উধাও। এই ঘটনায় তাঁর পরিচারিকা যুক্ত বলে অভিযোগ করেন ইন্দ্রাণীদেবী। বাড়ির কেয়ারটেকার সুহৃদ চৌধুরী জানান, ওই পরিচারিকা প্রায় পাঁচ বছর ধরে কাজ করছেন। তবে, ১৭ তারিখ থেকে তিনি আর কাজে আসছেন না। এর আগেও বাড়িতে চুরি হয়েছে বলে সুহৃদবাবুর অভিযোগ। ইন্দ্রাণীদেবীর মেয়েরা বিদেশে থাকার কারণে সুহৃদবাবুই তাঁর দেখাশোনা এবং টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সব ধরনের কাজ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে পরিচারিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তাঁর খোঁজ শুরু হয়। দুপুরে তিনি ইন্দ্রাণীদেবীর বাড়িতে কাজে আসলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ওই পরিচারিকা পুলিশকে জানান, তাঁর শ্বশুরের অসুস্থতার জন্যই তিনি ক’দিন আসতে পারেননি। চুরির বিষয়ে কিছু জানেন না বলেও তাঁর দাবি।
উল্লেখ্য, অপরাধ ঠেকাতে বাড়ির পরিচারক বা পরিচারিকার সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য থানায় জমা দিতে নাগরিকদের কাছে বারবার আবেদন করেছে বিধাননগরের পুলিশ। এমনকী, কিছু দিন আগে সল্টলেকে নাগরিকদের সঙ্গে একটি আলাপচারিতায় একই আবেদন আবারও করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য। রবিবারের ঘটনার পরে বিধাননগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রণেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বারবার বলছি পরিচারক কিংবা পরিচারিকাদের তথ্য নাগরিকেরা থানায় জমা দিন। তা হলে এই ধরনের অপরাধ অনেকটাই এড়ানো যাবে।” |
|
|
|
|
|