|
|
|
|
কাগজ পড়ে আর ঘুমিয়েই কাটালেন জেলবন্দি সুশান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দেখা করতে আসেননি কেউ। নতুন করে জেরা করতে আসেননি সিআইডি-র কর্তারাও।
সেই অবসরে রবিবার সারা দিন আলিপুর সেন্ট্রাল জেল হাসপাতালের চার নম্বর ঘরে খবরের কাগজ পড়ে আর ঘুমিয়ে কাটালেন কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। আদালতের নির্দেশে তিনি এখন এই জেল হাসপাতালেই বন্দি।
শনিবার রাতে পুলিশ ভ্যান যখন সুশান্তবাবুকে জেলে পৌঁছে দিয়ে যায়, তখনই তিনি জেল সুপার চিত্তরঞ্জন ঘড়াইকে অনুরোধ করেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেকে দেখা করতে আসবেন। একটু দেখা করিয়ে দেবেন।’ তবে ছুটির দিনে বন্দিদের সঙ্গে দর্শনার্থীদের সাক্ষাৎ করানোর নিয়ম নেই। তা ছাড়া এ দিন সুশান্তবাবুর সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও কেউ চাননি।
তাই দিনভর মুখ বুজেই থাকতে হল সুশান্তবাবুকে। পরণে নীল চেককাটা লুঙ্গি। গায়ে হাল্কা ঘিয়ে রঙের হাফহাতা পাঞ্জাবি। এই পোশাকে তিনি কাটিয়ে দিলেন সারা দিন। কী ভাবে?
জেল-সূত্রের খবর: ভোর পৌনে ছ’টায় উঠে পড়েছিলেন সুশান্তবাবু। এখনও তাঁর ‘মেডিক্যাল ডায়েট’ চালু হয়নি। তাই অন্যদের যে খাবার দেওয়া হয়, প্রাক্তন মন্ত্রীকেও তা-ই দেওয়া হবে বলে ঠিক করেন জেলের কর্তারা। সেই মতো সকাল সাড়ে সাতটায় চা আসে। হাসপাতালের ওই ঘরে আরও যে সাত বন্দি চিকিৎসাধীন, তাঁদের জন্য বরাদ্দ দুধ চা। কিন্তু সুশান্তবাবু দুধ চা নেননি। তাঁর জন্য আনা হয় লাল চা ও দু’টো বিস্কুট। চায়ের সঙ্গেই তিনি ওষুধ খেয়ে নেন। তার পরে দলীয় মুখপত্র দেখতে চান। তা দেওয়া হলে খুঁটিয়ে সেটি পড়েন। ইতিমধ্যে চিকিৎসকেরা অন্যান্য রোগীর সঙ্গে সুশান্তবাবুকেও পরীক্ষা করে দেখেন। এবং জেল-কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানিয়ে দেন, প্রাক্তন মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আপাতত ঠিকঠাকই আছে।
এর পরে প্রাতরাশের পালা। সকাল সাড়ে ৯টায় চলে আসে দু’পিস পাউরুটি, একটা কলা। সঙ্গে ফের চা। খাওয়ার পরে সুশান্তবাবু আরও দু’টো খবরের কাগজ পড়তে চান। সে দু’টোও এনে দেওয়া হয়। দুপুর বারোটায় স্নান সেরে নেন প্রাক্তন মন্ত্রী। পৌনে একটায় পৌঁছে যায় দুপুরের খাবার ভাত, ডাল, সব্জি। মিনিট পনেরোর মধ্যে খাওয়া শেষ। দুপুরে দু’ঘণ্টার মতো ঘুমিয়েছেন সুশান্তবাবু। বিকেল চারটেয় ফের লাল চা। রাতে তাঁকে দেওয়া হয় হাতে গড়া ছ’টা রুটি, ডাল ও মাংসের ঝোল। |
|
|
|
|
|