|
|
|
|
তাঁতিপাড়ায় উদ্বোধন তসরগুটি কেন্দ্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজনগর |
মাঝে কেটে গিয়েছে এক বছর চার মাস। গত বছর ১৬ এপ্রিল রাজনগরের তাঁতিপাড়ার তাঁত শিল্পীদের সাহায্যার্থে তসরগুটির সংরক্ষণ ও বিপণনকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন পর্যটন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়। রবিবার সেই কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী নুরে আলম চৌধিরী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সাংসদ শতাব্দী রায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়, জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, তৃণমূল বিধায়ক স্বপন ঘোষ-সহ একাধিক আধিকারিক। তবে শুধু ওই অনুষ্ঠান নয়, দুবরাজপুর ব্লকের বক্রেশ্বর ধাম এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি শিলান্যাস হয় এ দিন। |
|
ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
প্রশাসন সূত্রে খবর, আগের সরকারের তরফে তাঁতিপাড়ায় ওই তসরগুটি সংরক্ষণ ও বিপণন কেন্দ্রটির জন্য ব্যয় বরাদ্দ হয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা। উদ্দেশ্য ছিল ৩০০টি তসরশিল্প পরিবার যাতে কম পয়সায় ওই কেন্দ্র থেকে তসরগুটি সংগ্রহ করতে পারেন। কারণ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়খণ্ড থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তসরগুটি সংগ্রহ করতে বেশি মূল্য দিতে হত এলাকার তসর শিল্পীদের। ফলে উৎপাদন ব্যয়ও বাড়ত। সব দিক থেকে যাতে সুবিধা হয় সেই সব তসর শিল্পীদের জন্য ওই কেন্দ্র। এ দিন কেন্দ্রটির দ্বারোদঘাটন করেন মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের তসর শিল্পীরা যাতে কম দামে তসরগুটি সংগ্রহ করতে পারেন, পাশাপাশি এ বিষয়ে আরও উন্নত মানের প্রশিক্ষণ পান সেটা দেখা হবে।”
গত বছর পর্যটনমন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে বক্রেশ্বর উষ্ণপ্রস্রবন কেন্দ্রকে ঢেলে সাজানোর শিলান্যাস করেছিলেন। সে কাজ এখনও চলছে। কিন্তু এখন বক্রেশ্বরে যে অংশের কাজ চলছে সেটা মূলত উষ্ণপ্রস্রবনকে ঘিরে। এবং সেখানে প্রবেশ মূল্য দিয়ে ঢুকতে হয়। তাই এলাকার এবং বাইরের সাধারণ মানুষের জন্য মন্দির সংলগ্ন একটি পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন, রাস্তাঘাট, বিদ্যুতের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে পঞ্চায়েত-গ্রামোন্নয়ন দফতর। এ দিন সেটির শিলান্যাস করেন চন্দ্রনাথ সিংহ। রাজনগরে অনুষ্ঠান শেষ করে সকলে যান বক্রেশ্বরে। চন্দ্রনাথবাবু বলেন, “শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। প্রয়োজনে এলাকার উন্নয়নে আরও টাকা বরাদ্দ করা হবে।” |
|
|
|
|
|