অজয় নদ থেকে বস্তাবন্দি একটি মৃতদেহ উদ্ধার হল আউশগ্রামের সাঁতলা গ্রামের কাছে। রবিবার সকালে দেহটি মেলে। পুলিশ জানায়, মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই দেহে বোমার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় বোমাবাজি হয়। তাতে চার জন জখম হয়েছিলেন। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, গোলমালের সময়ে বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে দেহটি শনাক্ত হয়নি। এখনও কেউ মৃতদহে দাবিও করেননি।” এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সিপিএম এবং তৃণমূল, দু’পক্ষই ওই যুবককে অপর দলের আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে দাবি করেছে। তৃণমূল নেতা চঞ্চল গড়াইয়ের অভিযোগ, “সাঁতলা গ্রামে বালি খাদ নিয়ে গোলমাল পাকানোর জন্য মঙ্গলকোট থেকে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসেছিল। বোমা বাঁধার সময়ে তা ফেটে মৃত্যু হওয়ায় ওই যুবকের দেহ অজয়ে ভাসিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।” সিপিএমের ভাগীরথী-অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক দুর্যোধন সরের পাল্টা দাবি, “সাঁতলা গ্রামে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তার জেরেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।”
|
খেতে কাজ করার সময়ে বচসার জেরে রবিবার মঙ্গলকোটের সাঁকোনা গ্রামে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় দু’পক্ষের মোট ৫ জন জখম হয়েছেন। আহতদের মঙ্গলকোট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সিপিএম সমর্থক একরাম শেখ ও তৃণমূল সমর্থক আব্দুল হালিম পাশাপাশি জমিতে কাজ করছিলেন। সেই সময়ে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আব্দুল হালিম একরাম শেখকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় মঙ্গলকোটের নতুনহাটে মজলিশ দিঘির কাছে তাদের দলীয় দফতরে বোমাবাজি করে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা। এ দিন ওই দুষ্কৃতীরাই সাঁকোনা গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সিপিএম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
|
অগ্নিদগ্ধ এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খণ্ডঘোষের উখরিদের বাসিন্দা ওই মহিলাকে গ্রামেরই এক যুবক পুড়িয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর মা। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মনিমালা বিবি (৩০)। তাঁর মা হামিদা বেগমের অভিযোগ, বছর চারেক আগে মনিমালার স্বামীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই স্থানীয় যুবক নাসরুল মোল্লা কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় গত ১১ অগস্ট ওই যুবক মনিমালার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সেই রাতেই তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার রাতে সেখানেই তাঁক মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত যুবক পলাতক। তার খোঁজ চলছে।
|
পূর্বস্থলীর মেড়তলা এলাকায় চণ্ডীপুর গ্রামে একটি খাল থেকে মাধব রায় নামে এক ব্যক্তির দেহ ভেসে উঠল শনিবার বিকেলে। আগের দিন বিকেলে মুদিখানার সরঞ্জাম আনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মাধববাবু। এলাকা জলমগ্ন থাকায় তাল গাছের ডিঙা নিয়েই বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। তার পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। |