|
|
|
|
শহরে বাড়ছে চুরির ঘটনা, ঠেকাতে নাকাল টাস্কফোর্স |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
চুরি বাড়ছে শহর বর্ধমানে। অবস্থা এতটাই খারাপ, যে পুলিশকে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে হয়েছে চুরি ঠেকাতে। তবু উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি পুলিশ।
বর্ধমানে চুরি যে বেড়েছে তা কবুল করেছেন জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “চুরি ঠেকাতে আমরা একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছি। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশকে টহলদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।” বর্ধমানের আইসি ভবদেব চক্রবর্তীও বলেন, “যে সব এলাকায় চুরি হচ্ছে, সেই এলাকার লোকেদের আরজি পার্টি গঠন করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এলাকার মানুষ নিজেরাই পাহারা দেবেন। আর পুলিশ ঘুরে ঘুরে টহল দেবে গোটা শহরে। অন্যথায় এই চুরি ঠেকানো সম্ভব নয়।”
জুলাই মাসে বর্ধমান শহরে রাহাজানি হয়েছে ২টি, তালা ভেঙে চুরি হয়েছে ২টি, ঘরে চুরি হয়েছে ৬ জায়গায়, মোটরবাইক চুরি গিয়েছে ৯টি, ৩টি ট্রাক চুরি গিয়েছে, মন্দিরের মালপত্র, ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যের দোকানে চুরি হয়েছে ৭ ক্ষেত্রে। এ দিকে, অগস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত জেলা পুলিশ দফতর থেকে যে পরিসংখ্যান মিলেছে, তাতেই দেখা যাচ্ছে, চুরির হার বেড়েছে যথেষ্ট। দশ দিনেই রাহাজানির ঘটনা ১টি, তালা ভেঙে চুরি ১টি, ঘরে চুরি ৩ জায়গায়। মোটরবাইক চুরি গিয়েছে ৫টি, ট্রাক ১টি এবং অন্যান্য চুরি ২টি। অর্থাৎ মোট ১৩টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এমনকী, তালা ভেঙে চোর ঢুকে পড়েছে ২ নম্বর পাঁকমারা লেনে এক বিচারবিভাগীয় অফিসারের বাড়িতে। পুলিশকর্মীদের বাড়িও বাদ যায়নি। অভিযোগের বহরে তাই বর্ধমান থানার দিশেহারা দশা।
বর্ধমান থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া এই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সে দু’জন এএসআই, চার সশস্ত্র বাহিনীর কনস্টেবল রয়েছেন। দলটিকে আরও জোরদার করতে শক্তিগড় ফাঁড়ি থেকে বর্ধমানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অপর এক এসআইকে। জেলা পুলিশের ডিএসপি সদর অম্লানকুসুম ঘোষ প্রতি দিন রাতে এই দলটির সঙ্গে শহর টহলে বেরোচ্ছেন। তবু শহরের কয়েকটি মন্দিরে গত তিন মাসে চুরি যাওয়া ১২০ ভরি রুপোর গয়না ছাড়া কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তিন জনের বেশি দুষ্কৃতীও ধরা যায়নি।
কেন ব্যর্থ বিশেষ দলটি? বর্ধমান থানার দাবি, প্রায় ১৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় টহলদারির জন্য থানার হাতে রয়েছে মাত্র তিনটি গাড়ি। তার মধ্যে দু’টি গাড়ি রাতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় টহল দেয়। কারণ, ওই এলাকায় প্রচুর অপরাধ মূলক ঘটনা ঘটে। হয় ছিনতাই, ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধও। তাই সেখানেই বেশি নজর দিতে হয় পুলিশকে। কিন্তু গাড়ি পিছু দিনে তেল বরাদ্দ আট লিটার। ফলে থানার গাড়িগুলির ঘোরাফেরার সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এ বার তাই রাতে ছোট-ছোট দলে ভাগ হয়ে শহরের নানা এলাকায় পুলিশ কর্মীরা মোটরবাইকে চেপেই টহল দেবেন।
তাতে যদি চুরির বহর কমে! |
|
|
|
|
|