নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
রাস্তা নয়, যেন ছোটখাটো কয়েকটা ডোবা!
বিধাননগরের সেক্টর ২ সি এলাকার ইমন কল্যাণ সরণির এমনই হাল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরভর এই রাস্তাটি খানাখন্দে ভর্তি হয়ে থাকে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি দিয়ে মিনিবাস চলে। আগে যানবাহন কম চললেও বছর তিনেক আগে ওখানে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির পর ভিড় বেড়েছে বহু গুণ। অথচ পুরসভা রাস্তাটি সারাতে উদ্যোগী হচ্ছে না। পুরসভার মেয়র পারিষদ (পূর্ত) প্রভাত চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, রাস্তা সারাইয়ের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি কমলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। |
একটানা বৃষ্টিতে দুর্গাপুরের অনেক রাস্তারই পিচ উঠে গিয়েছে। সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিধাননগরের ওই রাস্তাটি আগে থেকেই বেহাল হয়ে ছিল। ফলে বৃষ্টিতে রাস্তার বড় বড় খন্দগুলি ভরে গিয়েছে জলে। তার উপর দিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দা শ্যামল বসু, তপন পাল, তাপস রায় প্রমুখ। তাঁরা বলেন, “বহু দিন ধরে রাস্তাটির সংস্কার হয়নি। বৃষ্টির পরে খানাখন্দগুলি ভরে গিয়েছে জলে। উপর থেকে রাস্তার অবস্থা বুঝতে না পেরে অনেকেই উল্টে পড়ছেন। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।” ২০০৮-এ ওই রাস্তার পাশে মিশন হাসপাতাল গড়ে ওঠে। শহর তো বটেই আশেপাশের জেলা এমনকী রাজ্য থেকেও চিকিৎসার জন্য মানুষজন আসেন ওই হাসপাতালে। হার্টের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বাবাকে নিয়ে এসেছিলেন বোলপুরের নন্দিনী সাহা। তিনি বলেন, “ওই রাস্তা দিয়ে বাবাকে গাড়িতে আনার সময় দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।” রোগীর পরিজনদের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বসু। তিনি বলেন, “রাস্তাটি সংস্কার করা হলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনদেরও সুবিধা হবে।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাজেট বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু হঠাৎ নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। নির্বাচন শেষ হওয়ার কিছুদিন পরে ফের সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এ বার বাদ সাধে প্রকৃতি। মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হওয়ায় কাজ শুরুর ঝুঁকি নিতে পারেনি পুরসভা। এ দিকে বৃষ্টি বন্ধ হওয়া তো দূরের কথা। টানা বৃষ্টির ফলে রাস্তার যেটুকুও বা অক্ষত ছিল সব ধুয়ে মুছে গিয়েছে। খন্দগুলি ছোটখাটো ডোবার আকার ধারণ করেছে। পুরসভার মেয়র পারিষদ (পূর্ত) প্রভাতবাবু বলেন, “বৃষ্টির জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে আগেই। বৃষ্টি শেষ হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।” শুধু সংস্কার নয়, ওই রাস্তার উপর যানবাহনের চাপ বেড়ে গিয়েছে। তা সামল দেওয়ার জন্য রাস্তাটি চওড়াও করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রভাতবাবু। |