|
|
|
|
জিএম চাষের বিরুদ্ধেই রাজ্য, জানালেন কৃষিমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরিবেশমন্ত্রী আগেই নাকচ করেছেন। এ বার কৃষিমন্ত্রীও জানিয়ে দিলেন, তাঁরা জিন পরিবর্তিত (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড বা জিএম) ফসলের চাষ না করারই পক্ষে।
চুঁচুড়ার ধান গবেষণা কেন্দ্র যে জিএম ধানের পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি পেয়েছে, তা গত মাসেই বাতিল করে দেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার। ওই গবেষণা কেন্দ্রে সাতটি জাতের জিএম ধানের পরীক্ষামূলক চাষ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জিএম ফসলের চাষ নিয়ে রাজ্য কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা নির্ধারণ করতে দুই সদস্যের একটি কমিটি তৈরি হয়েছিল। তারা এখনও রিপোর্ট দেয়নি। তার মধ্যেই বুধবার রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা জিএম ফসলের চাষ বর্জনের পক্ষেই।” জিএম ফসল চাষে বিদেশি সংস্থাগুলির তৎপরতা বন্ধ করতে ৯ অগস্ট থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে কৃষকদের পাশাপাশি প্রচার-আন্দোলন চালাচ্ছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। এ ছাড়াও বিজ্ঞানী এবং বিশিষ্টজনেদের অনেকেই জিএম-বিরোধী আন্দোলনে রয়েছেন। জিএম-বিরোধী আন্দোলনকারীদের এক
প্রতিনিধি দল বুধবার কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জিএম ফসলের চাষ বন্ধের আর্জি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। কৃষিমন্ত্রী তাঁদের জানিয়ে দেন, রাজ্য জিএম ফসলের
চাষের বিরুদ্ধে। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, এ ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দুই সদস্যের কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। |
|
এর আগে রাজ্য কৃষি কমিশনও জিএম ফসল চাষ না করার সুপারিশ করেছিল। কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রথীন্দ্রনারায়ণ বসু বলেন, “আমরা কৃষি কমিশনের রিপোর্টে জিন পরিবর্তিত ফসলের চাষ বা যে কোনও রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পূর্ণ বন্ধ করার সুপারিশ করেছিলাম। তার পরিবর্তে জীববৈচিত্র এবং পরিবেশ বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে জৈব কৃষির উপর জোর দিতে বলেছিলাম। আমি তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও এ কথা জানিয়েছিলাম।” পরে বিটি বেগুন (বেসিলাস থুরিঞ্জেনসিস (বিটি) নামে মাটির একটি জীবাণুর জিন বেগুনের মধ্যে ঢুকিয়ে নতুন বীজ তৈরি হয়েছে) চাষের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়, এমন কোনও ফসলের জিন পরিবর্তন নিয়ে কোনও পরীক্ষামূলক চাষ এ রাজ্যে হবে না। |
|
|
|
|
|