|
|
|
|
আর্থিক বিবরণী অসম্পূর্ণ, সমালোচনা অসীমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চলতি আর্থিক বছরে রাজ্য সরকার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের বদলে ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ করেই দায় সেরেছে বলে আগেই সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরা। শনিবার, সরকারের পেশ করা আর্থিক বিবরণী ‘অসম্পূর্ণ’ বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ২০১১-’১২ সালের বার্ষিক আর্থিক বিবরণীর সারসংক্ষেপ পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। যেখানে তাঁর মূল বক্তব্য ছিল, বিভিন্ন উপায়ে রাজস্ব বাবদ আয় বাড়িয়ে, রাজ্যের থমকে থাকা উন্নয়নে গতি আনাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
এ দিন অসীমবাবু অভিযোগ করেন, ওই আর্থিক বিবরণী থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির কোনও দিশা যেমন নজরে পড়েনি, তেমনই নতুন প্রকল্পের ঘোষণাও নেই। অথচ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করার জন্য যথেষ্ট সময় অর্থমন্ত্রী পেয়েছিলেন। আর তা যদি উনি বিধানসভায় পেশ করতেন, রাজ্যের সাধারণ মানুষ অন্তত বাজেটের মাধ্যমে কী কী আর্থিক সুবিধা পেতে চলেছেন, তা বুঝতে পারতেন।
অসীমবাবুর প্রশ্ন, অর্থমন্ত্রী রাজস্ব খাতে ৩০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি পাবে বলে যে ঘোষণা করেছেন, তা কী করে সম্ভব? বাড়তি উপার্জনের উৎসগুলি কোথায়, সেটাই তো পরিষ্কার করে বলা নেই। অসীমবাবু এ দিন বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার পরে বর্তমান রাজ্য সরকারই ঘোষণা করছে, চলতি আর্থিক বছরে তারা বাজার থেকে অতিরিক্ত ২০০০ কোটি টাকা ঋণ নেবে। অথচ অর্থমন্ত্রী আর্থিক বিবরণীতে তার উল্লেখ করেননি। অসীমবাবুর দাবি, আর্থিক বিবরণীতে আয়-ব্যয়ের বিষয়গুলি অনেকটাই অসম্পূর্ণ এবং ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন অমিতবাবু।
বিধানসভায় আর্থিক বিবরণী পেশের দিন অমিতবাবু জানান, গত ২৪ জুন তিনি যে ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ পেশ করেছিলেন, তা পুরো আর্থিক বছরের জন্যই। অর্থাৎ তা একটি পূর্ণাঙ্গ বাজেটেরই ‘রূপ’ বলে ধরে নেওয়া উচিত বলে অর্থমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, ওই দিন বিবরণীতে শুধু নতুন আর্থিক বিলের প্রসঙ্গটি বলা ছিল না। যে বিলটি তিনি খুব সম্ভবত ২৯ অগস্ট বিধানসভায় পেশ করতে চলেছেন।
অসীমবাবু এ প্রসঙ্গে বলেছেন, অর্থমন্ত্রী আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই আর্থিক বিল পেশ করতে চলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর জানার কথা ওই বিলে কী রয়েছে। কারণ, রাজ্যে নতুন কী কর আরোপ হচ্ছে বা মকুব হচ্ছে, এই ধরনের বিলে সাধারণত সেই সব বিষয় থাকে। সে ক্ষেত্রে উনি বিলটি আর্থিক বিবরণীর সঙ্গে আনলেই পরিষ্কার হয়ে যেত, রাজস্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি কোন পথে এগোতে চাইছেন।
অসীমবাবু এ দিন জানান, রাজ্যের রাজস্ব বৃদ্ধির কোনও দিশা না থাকার কারণ হিসাবে ২০০৯ সালে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার কোনও আর্থিক বিল পেশ করেনি বলে অর্থমন্ত্রী যে অজুহাত দেখিয়েছেন, তা ঠিক নয়। অসীমবাবুর দাবি, ওই বছর বাজেটে তাঁরা বাজেটে ‘পশ্চিমবঙ্গ কর আইন সংশোধন বিল’ এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ আন্তঃরাজ্য নদী উপত্যকা বিদ্যুৎ বিল’ (যেগুলি আগেই মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছিল) নিয়ে এসে অতিরিক্ত ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের পথ দেখিয়েছিলেন। এবং নতুন প্রকল্পে ৫৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। |
|
|
|
|
|