|
|
|
|
উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গ ছেড়ে নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দক্ষিণবঙ্গকে আপাতত রেহাই দিয়ে নিম্নচাপ এ বার ধাওয়া করছে উত্তরবঙ্গকে।
দক্ষিণবঙ্গের উপরে থাকা সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি গত কয়েক দিন ধরে নয়টি জেলাকে ভাসিয়ে শনিবার সকালে পাড়ি দিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। সেটি ধীরে ধীরে মধ্য ভারতের দিকে সরে যাওয়ার কথা। কিন্তু সরে যাওয়ার আগে নিম্নচাপের লেজের ঝাপটায় উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহারে প্রবল বর্ষণ হবে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ শনিবার বলেন, “নিম্নচাপটি দক্ষিণবঙ্গ ছেড়ে দিলেও এ বার তার ধাক্কা লাগবে হিমালয়ের পাদদেশে। তার ফলে সংলগ্ন তিন জেলায় রবিবার ও সোমবার প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।” বিশেষত, দার্জিলিং পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের যে পূর্বাভাস আবহবিদেরা পাচ্ছেন, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
৬ অগস্ট থেকে এক বার ঘূর্ণাবর্ত, এক বার জোড়া ঘূর্ণাবর্ত এবং শেষে নিম্নচাপের কবলে পড়ে দক্ষিণবঙ্গের ১৪টি জেলা ইতিমধ্যেই বন্যার সম্মুখীন। শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, ওই ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে ঝাড়খণ্ডেও। সেই জল নেমে এসেছে নিম্ন দামোদর এলাকায়।
গত এক মাসে ডিভিসি-ও জল ছাড়ার পরিমাণ ক্রমাগত বাড়িয়েছে। ডুবে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের খেত।
অবশেষে সেই পরিস্থিতি থেকে সাময়িক মুক্তির আভাস মিলেছে শনিবারের পূর্বাভাসে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ঝাড়খণ্ড থেকে দ্রুত সরে যাবে মধ্যপ্রদেশের দিকে। তার ফলে দক্ষিণবঙ্গের মতো ঝাড়খণ্ডেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসবে। তবে বিগত সাত দিনের মতো শনিবারও সূর্যের দেখা পায়নি কলকাতা। সকাল থেকে অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে।
ছিল হাওয়াও।আজ, রবিবার অবশ্য দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে আশা করছে আবহাওয়া অফিস। |
|
|
|
|
|