নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন অভিযোগ করে আজ, শনিবার শিলিগুড়িতে সাফাই বন্ধ রাখার হুমকি দিল কংগ্রেসের শিলিগুড়ি পুর কর্মচারী সমিতি। শুক্রবার কো অর্ডিনেশন কমিটি ও ডিফেন্স কমিটির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে সামিল হয়ে ওই পুরকর্মীরা পুরসভা অবরোধে নেমেছিলেন। অভিযোগ, মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল, দুলাল দত্ত এবং নিখিল সাহানির নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা অবরোধ ভেঙে পুরসভায় ঢোকার চেষ্টা করে। সেই সময়ে তাঁদের কয়েকজন কর্মীরা মারধরের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি এবং মহকুমাশাসক সৌরভ পাহাড়ির নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা যান। অবরোধকারীরা পুরসভার গেট থেকে সরতে রাজি না-হওয়ায় পুলিশ পুর কর্মচারী সমিতির নেতা সৌমেন দাসরায়-সহ প্রায় দেড়শো আইএনটিইউসি কর্মীকে গ্রেফতার করে। দুপুরের দিকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “আইন ভেঙ্গে যারা বন্ধ করার চেষ্টা করছিলেন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।” ক্ষুব্ধ আইএনটিইউসি কর্মীরা আজ, শনিবার পুরসভা অভিযানের ডাকও দিয়েছেন। আইএনটিইউসি’র জেলা সভাপতি অলক চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের তিন কাউন্সিলর আমাদের সমর্থকদের পুরসভার গেটের সামনে মারধর করেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শনিবার কর্মীরা সাফাই বন্ধ রেখে পুরসভায় গিয়ে সুবিচার চাইবেন।” মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পালের পাল্টা অভিযোগ, “হামলার প্রশ্নই ওঠে না। যাঁরা কাজ করতে চান তাঁরা পুরসভায় ঢুকেছেন। সিপিএম শিলিগুড়ির উন্নয়নকে স্তব্ধ করতে ঘন ঘন বন্ধ করছে। কংগ্রেস আমাদের জোট সঙ্গী হলেও তাঁদের শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বন্ধে সামিল হয়ে সিপিএমকে মদত দিচ্ছে।” সৌমেনবাবুর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হাজার খানেক অস্থায়ী কর্মী দৈনিক ১০৫ টাকা হাজিরায় কাজ করছেন। বহুবার তাঁরা পুর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানোর পরেও মজুরি বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। সেই জন্যই এদিন পুরসভা অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল আমাদের জোট সঙ্গী। কিন্তু যেভাবে আমাদের উপরে হামলা হয় না লজ্জার ঘটনা।” মাটিগাড়াতেও এদিন বনধকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। |