নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
চুড়িদার বিতর্কের নিষ্পত্তি করতে আগামী মঙ্গলবার ভুটনির ঘাট গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা ও গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠক ডাকল ফালাকাটা ব্লক প্রশাসন। ওই স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষিকা চুড়িদার পরে স্কুলে আসায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের কিছু লোক নাগরিক মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে নেমেছেন। তাঁদের দাবি, শিক্ষিকাদের শাড়ি পরে স্কুলে যাতায়াত করতে হবে। শিক্ষিকা ওই ‘ফতোয়া’ মানতে অস্বীকার করায় তাঁদের কটুক্তি করার অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার কয়েকজন শিক্ষিকা চুড়িদার পড়ে স্কুলে যাবার পথে তাঁদের দাঁড় করিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ক্ষুব্ধ শিক্ষিকারা ক্লাস বয়কট করেন। হাইকোর্টের রায় থাকা সত্বেও কেন তাঁদের শাড়ি পড়তে চাপ দিয়ে কটুক্তি করা হচ্ছে তা নিয়ে ফালাকাটার বিডিওকে ডেপুটেশন দেন শিক্ষিকারা। শিক্ষিকাদের হেনস্তা বন্ধ করতে শুক্রবার ফালাকাটার বিডিও সুশান্ত মন্ডল নিজেই ওই স্কুলের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে নজরদারি করেন। বিডিও বলেন, “বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে মঙ্গলবার সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসব। সকলের বক্তব্য শোনা হবে।” শিক্ষিকাদের কটূক্তি করার ঘটনা জানার পর ক্ষুব্ধ রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “একজন শিক্ষিকার সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে তা কিছুতে মানা যায় না। যারা রাস্তায় নেমে শিক্ষিকাকে অপমানিত করতে পারেন তাঁরা নিজেদের বাড়ির মহিলাদের উপর কী ধরনের আচরণ করেন তা এই ঘটনায় স্পষ্ট। তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি মহিলা কমিশনের সদস্যা জ্যোৎস্না অগ্রবালকে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি। যদি এই ধরনের ঘটনা ফের ঘটলে প্রশাসন যাতে কড়া পদক্ষেপ সে কথাও জানিয়েছি।” শিক্ষিকাদের উপর এই ধরনের আচরণে ক্ষুব্ধ লেখিকা তিলোত্তমা মজুমদার তিনি বলেন, “চুড়িদার অত্যন্ত শালীন পোশাক। শিক্ষিকাদের তা পরার স্বাধীনতা রয়েছে। যে সমস্ত প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়ক চুড়িদার পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা খুব প্রাচীনপন্থী ধ্যানধারণায় চলছেন।” |