|
|
|
|
|
|
|
সঙ্গীত সমালোচনা ১... |
|
যোগ্য পরিসমাপ্তি |
আশিস চট্টোপাধ্যায় |
সুরসাধক অরুণ ভাদুড়ির সঙ্গীত জীবনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উৎসব উদযাপিত হল মধুসূদন মঞ্চে। শিষ্য-শিষ্যারা অনুষ্ঠানটির আয়োজক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বেশ কিছু মহারথী ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক জন শিল্পীকে শুভ কামনা জানাতে।
সঙ্গীতজ্ঞ বিজয় কিচলুর করস্পর্শে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং অজয় চক্রবর্তীর সুরেলা শ্লোক-পাঠে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। অরুণের আত্মজীবনী ‘গান আমার পরশমণি’ এবং তাঁর কণ্ঠে গীত কিছু বাংলা গান ও তাঁর সৃষ্ট। গীত খেয়ালের কয়েকটি বন্দিশের দু’টি অনবদ্য কমপ্যাক্ট ডিস্কের উন্মোচন করেন বুদ্ধদেব গুহ ও শঙ্করলাল ভট্টাচার্য।
সঙ্গীতাংশের সূচনা হয় সমবেত গুরুবন্দনায়। ভৈরব রাগাশ্রিত গানটির রচয়িতা জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ। এর পর শিষ্য-শিষ্যারা পরিবেশন করেন মান্ড রাগাশ্রয়ী ভজন ‘বন্দেরে মন গুরুকে চয়ন’। গানটির রূপকার অরুণ ভাদুড়ি। বন্দিশ বন্দনা পর্বে অরুণের অনবদ্য সৃষ্টিমাধুর্য ধ্বনিত হতে থাকে একের পর এক রাগে ছাত্রছাত্রীদের দ্বৈত কণ্ঠে। প্রথমে মৈত্রেয়ী রায় দাদারকর ও মানালী বসুর কণ্ঠে রাগ পটদীপ। পরবর্তী নিবেদনের শিল্পী শিরিন সেনগুপ্ত এবং ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়--রাগ হংসধ্বনি। গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও অশোক ঘোষ শোনান সরস্বতী। আড়ানা রাগাশ্রিত বন্দিশ পরিবেশন করেন আদর্শ সাক্সেনা ও শঙ্কুময় দেবনাথ। মিশ্র পিলুতে হোরী রূপায়িত হয় সুচেতা গঙ্গোপাধ্যায়, কস্তুরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। শিল্পীদের তবলা, হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন শমীক ভাদুড়ি, গৌরব চট্টোপাধ্যায়।
বাংলা গানের অধ্যায়ে অরুণের মনোগ্রাহী সুর ও গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, অতনু চক্রবর্তীর কথায় ছাত্রছাত্রীরা নিবেদন করেন বাংলা গান। এই তালিকায় ছিলেন লোপামুদ্রা মিত্র, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, রূপরেখা চট্টোপাধ্যায়, অনসূয়া চৌধুরী, আশা ঘোষাল ও তুষার দত্ত।
এই অধ্যায়ের শেষে মধুমিতা সাহা সুললিত কণ্ঠে পরিবেশন করেন মান্ড-আশ্রিত মীরাবাঈয়ের ভজন। অনুষ্ঠানের যোগ্য পরিসমাপ্তি হয় ওস্তাদ রাশিদ খাঁর গানে। তবলায় শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হারমোনিয়ামে জ্যোতি গোহকে সঙ্গে নিয়ে রাগ পুরিয়া কল্যাণে তাঁর প্রথম অঞ্জলি। পরে সোহিনি রাগে তাঁর মনোমুগ্ধকর নিবেদন শেষ হওয়ার পরেও রেশ রেখে যায়। |
|
|
|
|
|