পূর্ব কলকাতা
বেহাল পরিষেবা
গাফিলতিতে আটকে জল
বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় পাম্প চলছে না। আর তাই জল সঙ্কটে ভুগছে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড।
পুরনো পাম্পটি ঠিকমতো কাজ করছিল না। তাই নতুন ভাবে বোরিং করে পাইপ বসানো হয়েছে। এখন বিদ্যুতের লাইন আর ‘সাবমার্সিবল’ মোটর যোগ করলেই পানীয় জল পাওয়া যাবে। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এই কাজটুকু করেনি ‘কলকাতা মেট্রোপলিটন ওয়াটার সাপ্লাই অথরিটি’ (কেএমডব্লিউএসএ)। তাই পানীয় জলের সঙ্কট রয়েই গিয়েছে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নারায়ণতলায়।
পুরনো পাম্প এখানেই নতুন পাম্প বসানোর কথা
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নতুন পাম্প চালু করার ক্ষেত্রে কেএমডব্লিউএসএ-র গা-ছাড়া ভাব রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নারায়ণতলায় জল সরবরাহের জন্য ২০০৪-এ পাম্প বসিয়েছিল কেএমডব্লিউএসএ। কিন্তু এখন পাম্পটিতে নানা সমস্যা হচ্ছে। তাই ঠিকমতো জল সরবরাহ হচ্ছে না। কিন্তু জলের চাহিদাও ক্রমবর্ধমান। তাই পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন করে বোরিং করে কেএমডব্লিউএসএ।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, পুরনো পাম্প ঘর থেকে বৈদ্যুতিক সংযোগ মাটির তলা দিয়ে আনা হবে নতুন বোরিংয়ের জায়গায়। এর পরে পুরনো পাম্পের সাব মার্সিবল মোটরটিকে তুলে নতুন পাইপে লাগানো হবে। কিন্তু স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, পাইপ বসানোর পরে নলকূপটি ওয়াশ করে পাইপের মুখ আটকে ফেলে রাখা হয়েছে। পুরনো পাম্পটি ঠিকমতো কাজ না করায় পার্শ্ববর্তী ২২ নম্বর ওয়ার্ডেও জল সরবরাহের সমস্যা তৈরি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বললেন, “সামান্য কাজটুকু শেষ করলেই এলাকার মানুষের সমস্যা মেটে। কিন্তু কেএমডব্লিউএসএ-র গা ছাড়া ভাব। এ নিয়ে বহু বার জানানো সত্ত্বেও কোনও রকম কাজ হয়নি। পুরসভার জলের গাড়ি দিয়ে কোনও রকমে পরিস্থিতি সামলানো হচ্ছে।”
কেএমডব্লিউএসএ-র বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার শিশিরকুমার রাম বলেন, “কাজ চলছে। বর্ষার জন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে আশা করছি শীঘ্রই কাজ শেষ হবে।”
রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার পুরপ্রধান সিপিএমের তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেএমডব্লিউএসএ-কে বলা হয়েছে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য। আশা করছি তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হবে।”

ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.