টুকরো খবর |
|
শান্তির লক্ষ্যে জামিন জুয়েল ও নিরঞ্জনকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
শান্তি আলোচনার স্বার্থে স্বাধীনতা দিবসের তিন দিন আগে অবশেষে জামিন পেলেন ‘ব্ল্যাক উইডো’ সংগঠনের সেনাধ্যক্ষ নিরঞ্জন হোজাই ও সভাপতি জুয়েল গার্লোসা। আজ গৌহাটি হাইকোর্ট এই দুই ডিমাসা জঙ্গি নেতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। জুয়েল ও নিরঞ্জন আপাতত চার মাসের জন্য জামিন পেলেন। গত বুধবারেই তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র তরফে বিশেষ আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল জুয়েল ও নিরঞ্জনের জামিনের আবেদনে তাদের আপত্তি নেই। আজ পুলিশ বা রাজ্যের তরফেও জামিনে কোনও আপত্তি জানানো হয়নি। আজ গুয়াহাটি হাইকোর্টের এক নম্বর এজলাসে শুনানির পরে প্রধান বিচারপতি মদন লকুর ও হৃষীকেশ রায় জানান, নিরঞ্জন ও জুয়েলকে চার মাসের জন্য অন্তর্বতীকালীন জামিন দেওয়া হচ্ছে। জুয়েল ও নিরঞ্জনের আইনজীবী বিজন মহাজন জানান, রাজ্য সরকার শান্তি আলোচনার জন্যই আপাতত চার মাসের জন্য দুই জঙ্গি নেতাকে কারামুক্ত করার ব্যবস্থা করল। কেন্দ্রীয় মধ্যস্থতাকারী পি সি হালদার, রাজ্যপাল জানকীবল্লভ পটনায়ক ও মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সঙ্গে আলোচনা চালানোর পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
|
ধরা দেওয়া জঙ্গিকে কোপাল তিন দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
এক আত্মসমর্পণকারী আলফা জঙ্গিকে গুলি করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়েছে তিন দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীরা ওই ব্যক্তিকে পাঁচটি গুলি করে পালিয়েছে। শুক্রবার সকালে ধুবুরি জেলার গোলকগঞ্জ থানার অসম-বাংলা সীমানার ঘেরবাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই আত্মসমর্পণকারী আলফা জঙ্গির নাম সুভাষ বর্মন। ওই এলাকায় তাঁর বাড়ি। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ২০০৫ সালে সুভাষ আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তিনি চাষবাস করে সংসার চালান। এ দিন সকালে বাড়ির পাশে একটি মুদির দোকানের সামনে তিনি বসেছিলেন। সেই সময় মোটর সাইকেলে করে তিন যুবক আসে। সুভাষবাবুর সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। হঠাৎ তিনজনের মধ্যে একজন কোমর থেকে পিস্তল বার করে সুভাষবাবুকে পাঁচটি গুলি করে। তার পরে তাঁকে কোপানো হয়। মাস সাতেক আগেও তাঁর বাড়ির সামনে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে পালায়। কী কারণে এই গুলির ঘটনা তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দুষ্কতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে ধুবুরির পুলিশ সুপার প্রদীপ শালৈ জানিয়েছেন।
|
রাস্তায় উদ্ধার ছাত্র-ছাত্রীর দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় মিলল দুই ছাত্র-ছাত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে কামরূপের ক্ষেত্রীতে। পুলিশ জানায়, আজ সকালে মলৈবাড়ি জুনিয়র কলেজে যাওয়ার রাস্তার পাশের জঙ্গলে হিতেশ বৈশ্য নামে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পেটে একটি ভোজালি ঢোকানো ছিল। পুলিশ আসার পরে পাশের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মণিকা দাসের রক্তাক্ত মৃতদেহও। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, হিতেশ প্রথমে ভোজালি দিয়ে মণিকাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে নিজেও একই অস্ত্রে আঘাতী হয়। তাদের বন্ধুদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, হিতেশ ও মণিকা একে অপরকে ভালবাসত। সম্প্রতি কোনও কারণে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য ঘটে। গত কালও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
|
মুখিয়ার বাড়ি জ্বালিয়ে দিল মাওবাদীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বিহারে শিওহর জেলার রামবন গ্রামে কাল রাতে খোদ গ্রামপ্রধানের বাড়িতে হামলা চালাল সশস্ত্র মাওবাদীরা। শ্যামপুরভাট্টা থানা সূত্রে আজ জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রধারী জনা বিশেক জঙ্গি গ্রামে ঢুকে প্রথমেই চড়াও হয় মুখিয়া সুবোধ রাইয়ের বাড়িতে। গুলি চালাতে চালাতে তারা ঢোকে ওই বাড়িতে। ঘটনাচক্রে সুবোধ বাড়িতে ছিলেন না। তাঁকে না পেয়ে ক্ষিপ্ত মাওবাদীরা তাঁর বাড়িটিতেই আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ আজ এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালালেও রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের খবর নেই। অন্য দিকে মুজফ্ফরপুর জেলার গয়ঘাট থানার অধীন নাজিরপুর গ্রামে কাল রাতে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাত মাওবাদীকে। এদের মধ্যে দু’জন মহিলা জঙ্গি। পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাল গভীর রাতেই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধৃতদের একজন হল স্বঘোষিত এরিয়া কমান্ডার হেমন্ত ওরফে আশুতোষ। ধৃতদের কাছ থেকে মিলেছে একটি পিস্তল, বেশ কিছু কার্তুজ ও মাওবাদী প্রচারপুস্তিকা। |
ধর্ষণ কি হয়েছে, নিশ্চিত নয় কমিটি |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
উত্তরপ্রদেশের ভাট্টা-পারসল গ্রামে কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষের সময়ে কোনও ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিত ভাবে জানতে পারেনি তদন্তকারী কমিটি। যদিও কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী অভিযোগ করেছিলেন, সে সময় কৃষক পরিবারের কিছু মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা নিয়ে নালিশও করেন তিনি। আজ রাজ্যসভায় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী কৃষ্ণা তিরথ জানান, জাতীয় মহিলা কমিশনের তদন্ত কমিটি সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু ওই সময় ধর্ষণ হয়েছিল বলে নিশ্চিত ভাবে তারা জানতে পারেনি। |
|