|
|
|
|
দু’রাজ্যে বন্দিই রইল ‘আরক্ষণ’, শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পঞ্জাবে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কেমন ছবি? কত ব্যবসা করবে? কেমন লাগল দর্শকদের?
বক্স অফিসের যাবতীয় হিসেব পড়ে রইল দূরেই। আদালত থেকে সংসদ ক্ষোভ, অভিযোগ, যুক্তির আদানপ্রদানেই পর্দায় প্রথম দিনটা কাটাল ‘আরক্ষণ’। ছবি নিয়ে দেশজোড়া ‘রাজনীতি’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাল বলিউড। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য জানিয়েছে, এ ব্যাপারে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না।
শিক্ষায় জাতভিত্তিক সংরক্ষণ নিয়ে এই ছবি। অভিযোগ উঠেছিল, সমাজের পিছিয়ে পড়া তথা সংরক্ষণের আওতাভুক্ত শ্রেণিকে ‘অসম্মান’ করা হয়েছে ‘আরক্ষণ’-এ। গোলমালের আশঙ্কায় উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আটকে দেওয়া হয়েছিল ‘আরক্ষণ’-এর মুক্তি। বৃহস্পতিবার পরিচালক প্রকাশ ঝা জানিয়েছিলেন, ছবির ‘আপত্তিকর’ অংশ বাদ দিতে তিনি রাজি। কিন্তু তাতেও ‘মুক্তি’ মেলেনি। উপরন্তু শুক্রবার সংসদে আরজেডি নেতা লালু প্রসাদের তীব্র বিরোধিতা, চেন্নাই এবং জম্মু-কাশ্মীরে কিছু দলিত সংগঠনের বিক্ষোভ চিন্তা বাড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্জাব সরকার ‘শর্তসাপেক্ষে’ ছবিটির প্রদর্শনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও পুরো স্বস্তি পাননি প্রকাশ। ‘আপত্তিকর’ অংশ বাদ দেওয়া হলেও উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাডু সরকার আপাতত কয়েক সপ্তাহ ছবিটি না-দেখানোর ব্যাপারে অনড়। পাশাপাশি, ‘আরক্ষণ’-এর প্রদর্শনের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে একটি সিনেমা হলের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে দলিতদের একটি সংগঠন। গোটা তামিলনাডুতেই ছবিটা না দেখানোর দাবি তুলেছে তারা। জম্মু-কাশ্মীরেও গুর্জর সম্প্রদায়ের তরফে একটি সংগঠন বলেছে, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে রাজ্যে ‘আরক্ষণ’-এর প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। ‘আরক্ষণ’-এর মুক্তি নিয়ে তিন রাজ্যে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রকাশ। বিচারপতি আলতামাস কবীরের বিশেষ বেঞ্চে তাঁর আবেদন গৃহীতও হয়। তবে ‘আরক্ষণ’ দেখানো যে সহজ হবে না, তার আন্দাজ মিলেছে এ দিনও। সংসদের বাইরে লালু প্রসাদ অভিযোগ করেন, “সিনেমাটি দলিত-বিরোধী, দেশের সংবিধানের পরিপন্থী। এটিকে এখনই নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। ছবিটি তৈরি এবং একে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যাপারে যাঁদের ভূমিকা রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সমাজের স্থিতি নষ্ট করার জন্যই ছবিটি বানিয়েছেন প্রকাশ ঝা এবং অমিতাভ বচ্চন।” লালুর অভিযোগ, “আরক্ষণ-এর নির্মাতারা চান না, সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো মূলস্রোতে ফিরুক।”
কিছুক্ষণের মধ্যেই লালুর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন অমিতাভ। তাঁর কথায়, “সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই তো সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের বেছে নিয়েছিলেন। ওই বোর্ড ‘আরক্ষণ’ দেখে তাতে কাটছাঁট না-করেই প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছে।
এখন সেই সিদ্ধান্তে রাজনীতিকেরা আস্থা দেখাচ্ছেন না কেন? এ ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তো সেন্সর বোর্ডকেই অপমান করা হচ্ছে। এর থেকে তো সেন্সর বোর্ড তুলে দেওয়াই ভাল।” |
|
|
|
|
|