গাছ পড়ে খয়রাশোলে জখম ৩ ছাত্র |
মিড-ডে মিল খাওয়ার সময়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় জখম হল সপ্তম শ্রেণির তিন ছাত্র। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে খয়রাশোলের লোকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। জখম ছাত্রদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পয়লা জুলাই থেকে এই স্কুলে মিড-ডে মিল চালু হয়েছিল। কিন্তু বসে খাওয়ার জন্য কোনও জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় পড়ুয়াদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। এ দিন সকলে যখন খাবার খাচ্ছে তখন সপ্তম শ্রেণির তিন ছাত্র সূর্যকান্ত মান্না, শান্তি বাউরি ও অর্জুন মালদের মাথায় একটি গাছের শুকনো ডাল ভেঙে পড়ে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ হোসেন বলেন, “আমাদের স্কুলে ২ হাজারের বেশি পড়ুয়া আছে। তার মধ্যে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার সংখ্যা ১১২৭ জন। মিড-ডে মিল খাওয়ানোর জন্য যে পরিকাঠামো দরকার সেটা নেই। বহুবার বিডিওকে জানিয়েও ফল হয়নি।” তাঁর আশঙ্কা, “এ দিন যে দুর্ঘটনা ঘটল সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবারও হতে পারে। তা ছাড়া, রোদ-বৃষ্টিতে এ ভাবে খাওয়ানো অসুবিধা।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, জখম তিন ছাত্র ভাল আছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে খয়রাশোলের যুগ্ম বিডিও সম্বল ঝা বলেন, “পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
মুরারইয়ে ডুবে মৃত্যু মহিলার |
বাজার করে বাড়ি ফেরার সময়ে নদীতে ডুবে মৃত্যু হল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মুরারই থানার নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাঁশলৈ নদীতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম, মাইনো হাঁসদা (৪৬)। বাড়ি মুরারই থানার জগন্নাথপুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরমে নদীতে জল থাকে না। মৃতার ছেলে হোপন হাঁসদা বলেন, “ওই দিন নন্দীগ্রামে মা বাজার করতে গিয়েছিলেন। দুপুর ২টো নাগাদ তিনি নদীর ওপার থেকে গ্রামে আসার জন্য নৌকায় উঠতে যান। তখন তিনি কোনও ভাবে বাঁশলৈ নদীতে পড়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও মার খোঁজ পাইনি। শুক্রবার ডালিম্বা গ্রামের কাছে মায়ের মৃতদেহ ভেসে ওঠে।” |