|
|
|
|
সংস্কৃতি যেখানে যেমন
|
কবি-স্মরণে অনুষ্ঠান |
• বৃষ্টির কারণে বাইশে শ্রাবণের অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হয়েছে জেলার বহু জায়গায়। বাতিল হয়েছে অনেক অনুষ্ঠান। কোথাও কোথাও পরে অনুষ্ঠান হয়েছে। যেমন দুবরাজপুর থানা গত বুধবার আয়োজন করেছিল রবীন্দ্র তিরোধান দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান। সেখানে লাভপুরের ‘বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী’ পরিবেশন করেছে ‘চণ্ডালিকা’ নৃত্যনাট্য ও ‘ছুটি’ গল্পের ‘শ্রুতি’ নাটক। অন্য দিকে, সিউড়ি পুরসভা ও জেলা যুব কল্যাণ দফতরের যৌথ উদ্যোগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিউড়ি ডিআরডিসি হলে বাইশে শ্রাবণ উপলক্ষে পরিবেশিত হয়েছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম পরিকল্প ছিলেন সিউড়ি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা সঙ্গীত শিল্পী প্রীতিকনা ভট্টাচার্য। ২২শে শ্রাবণ সন্ধ্যায় সাঁইথিয়া রবীন্দ্রভবনে পুরসভা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছিল। গত মঙ্গলবার দুপুরে বোলপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ ও বর্ষামঙ্গল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
• রবীন্দ্র-স্মরণে সোমবার থেকে তিন দিন নানা অনুষ্ঠান হয়ে গেল সারেঙ্গার গড়গড়িয়া সুভাষ হাইস্কুল ও হিড়বাঁধ ব্লকের গুনিয়াদা হাইস্কুলে। গড়গড়িয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধনচন্দ্র ঘোষ জানান, সোমবার প্রভাতফেরির মধ্যে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মঙ্গলবার বসে আঁকো, আবৃত্তি, ক্যুইজ-সহ নানা প্রতিযোগিতা হয়। বুধবার স্কুলের পত্রিকা ‘কোরক’ প্রকাশিত হয়। উদ্বোধন করেন সারেঙ্গা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রলয় কুণ্ডু। পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। গুনিয়াদা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জনার্দন হালদার জানান, সেখানেও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও গীতি আলেখ্য, আবৃত্তি, রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
• সোমবার গঙ্গাজলঘাটি হাইস্কুলে স্থানীয় ব্লক আয়োজিত রবীন্দ্র স্মরণ অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীতা মণ্ডল। সেখানে শিশু শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করে। বিকেলে তালড্যাংরায় বিনোদনগর জুনিয়র হাইস্কুলে এবং বুধবার অমরকানন দেশবন্ধু বিদ্যালয়ে এই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বাসুদেবপুর বান্ধব ক্লাব লাইব্রেরির উদ্যোগে শুক্রবার দুপুরে রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ স্মরণে একটি অনুষ্ঠান হয়। কবিতা পাঠ হয়।
• বাসুদেবপুর বান্ধব ক্লাব লাইব্রেরির উদ্যোগে শুক্রবার দুপুরে রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ স্মরণে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে কবিতা পাঠ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। রবীন্দ্রনাথ ও গ্রন্থাগার বিষয়ে আলোকপাত করেন গ্রন্থাগারিক উত্তমকুমার রায়। |
সাঁইথিয়া |
|
সিউড়ি
|
|
হলকর্ষণ উৎসব |
৮৪তম হলকর্ষণ উৎসব পালিত হল শ্রীনিকেতনে। বিশ্বভারতীর রীতি মেনে গত মঙ্গলবার শ্রীনিকেতনের মাঘমেলার মাঠে উদ্যাপিত হয় এই উৎসব। যোগ দেন শ্রীনিকেতনের কর্মী, অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য উদয়নারায়ণ সিংহ প্রমুখ। কৃষিমন্ত্রী বলেন, “রবীন্দ্রনাথের প্রবর্তিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি গর্বিত। বাংলার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে রবীন্দ্রনাথ কৃষির উপরে জোর দিয়েছিলেন।” তিনি আরও জানান, সম্প্রতি রাজ্য সরকার রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেশ কিছু ব্যস্থা নিয়েছেন। কৃষিক্ষেত্রেও নেওয়া হয়েছে উন্নয়নমূলক নানা ব্যবস্থা। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য উদয়নারায়ণ সিংহ বলেন, “গুরুদেব বরাবর কৃষির ঊন্নয়ন, বনসৃজনের কথা বলেছেন। সভ্যতা ও প্রকৃতি একে অপরের পরিপূরক। দুই ক্ষেত্রের মধ্যেই সমতা বজায় থাকা উচিত। রবীন্দ্রনাথ এই কথা বারবার বলেছেন।” অন্য দিকে, ওই দিন থেকে বিশ্বভারতীতে শুরু হয়েছে রবীন্দ্র সপ্তাহ। শ্রীনিকেতনের শিক্ষাসত্রে ‘রবীন্দ্রনাথ ও শ্রীনিকেতন’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে বিশ্বভারতী। প্রধান বক্তা ছিলেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দেবব্রত দাশগুপ্ত।
|
নাগিনী কন্যা |
|
নাগিনী কন্যা নাটকের একটি দৃশ্য |
লাভপুরের ‘বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী’ গত ৭ অগস্ট সিউড়ির রবীন্দ্র সদনে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘নাগিনী কন্যার কাহিনী’র নাট্যরূপ মঞ্চস্থ করেছে। ওই নাট্যরূপ দিয়েছেন ওই সংস্কৃতি বাহিনীর মুখ্য পরিচালক উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। নাটকটির নির্দেশকও তিনিই। উজ্জবলবাবু জানান, মনসামঙ্গল কাহিনী নির্ভরতায় লেখক লিখেছেন ওই গভীর মনস্তাত্বিক উপন্যাস। ওই উপন্যাসের ‘তোমার ঝাঁপি তোমার বংশ হইলো আমার ঘর গো’। এ ছাড়া, নাটকের প্রয়োজনে আরও ৫টি গান ব্যবহার করা হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি মনসামঙ্গলের গান। ওই গানগুলির রচয়িতা বীরভূমের ভ্রমরকোল গ্রামের বাসিন্দা সনৎ মুখোপাধ্যায়। বাকি ২টি গান উজ্জ্বলবাবুর লেখা। সব গানই মনসামঙ্গল গানের প্রচলিত সুর। যা ১ ঘণ্টার এই নাটকটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে। পাশাপাশি কুশীলবদের অভিনয়ও অনেকটা সাবলীল বলে অভিমত দর্শকদের। নাগিনী কন্যা কাহিনী--এই নাট্যানুষ্ঠানের আয়োজক সিউড়ির ‘আত্মজ’ নাট্য সংস্থা। |
|
|
|
|
|