আস্থা ভোটে হার পঞ্চায়েত প্রধানের |
দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার খয়রাশোলের বড়রা পঞ্চায়েত এলাকায় মিছল করেছিল সিপিএম। তবুও শেষ রক্ষা হল না। উল্টে শুক্রবার ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ হল ৬-০ ব্যবধানে।
১ অগস্ট প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস পাশে পেয়েছিল সিপিএমের এক সদস্যকে। আর এ দিন প্রধান, উপপ্রধান-সহ তিন সিপিএম সদস্য এবং এক জন বহিষ্কৃত সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে বিরোধীদের পক্ষে প্রস্তাব পাশ করাতে কোনও বাধা পেতে হয়নি। খয়রাশোলের বিডিও সুবীর ঘোষ বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০টি আসনের মধ্যে ৬টি পেয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল সিপিএম। ৪টি আসন নিয়ে বিরোধী আসনে বসেছিল কংগ্রেস। ২০১০-এ সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্য সৌজন্য সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার করে সিপিএম। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল দল। যদিও সৌজন্যবাবুর দাবি ছিল, তিনি প্রথমে দল ছেড়েছেন। সৌজন্যবাবুকে বহিষ্কার করার পরে এমনিতে শক্তি কমে গিয়েছিল সিপিএমের। তার উপরে দলের আর এক সদস্য শেখ হাসমতকে কংগ্রেস নিজেদের দলে টেনে নেওয়ায় বেকায়দায় পড়ে যায় সিপিএম। প্রধানের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের মূল অভিযোগ ছিল, প্রধান নিজের মতো করে পঞ্চায়েত চালাতেন। বিরোধী দলের সদস্যদের সংসদে উন্নয়নের দিকে তিনি নজর দিতেন না। এ ছাড়া, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ দরপত্র না ডেকে করা হয়ে থাকে। যদিও অভিযোগ মানেননি উপপ্রধান শেখ সামিম আখতার। তাঁর দাবি, সুবিধা আদায়ের জন্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে।
বড়রা লোকাল কমিটির সম্পাদক সিপিএমের বিমল ঘোষ বলেন, “বিরোধীরা আমাদের দুই সদস্যকে টোপ দিয়ে নিজেদের দলে টেনেছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তলবি সভায় উপস্থিত হননি আমাদের দলের সদস্যরা।” পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা কাঞ্চন অধিকারী বলেন, “এ বার আমাদের হাতে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা এল। আমাদের দলেই প্রধান, উপপ্রধান হওয়ার কথা।” সৌজন্যবাবু বলেন, “আমি বাইরে আছি। সিপিএমের বোর্ড থাকছে না নিশ্চিত জানতাম। তবে যাঁরা অনাস্থা এনেছিলেন তাঁরা আমাকে না ডাকায় পঞ্চায়েতে যাইনি।” |