কলেজে ভাঙচুর, ঘেরাও অধ্যক্ষ |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-বিক্ষোভ, ভাঙচুর ঘটনা চলছেই। শুক্রবার বিকেলে দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে হাতাহাতি, অধ্যক্ষকে ঘেরাও এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে। তবে এ দিন এই কলেজে এসফআই ও টিএমসিপির মধ্যে মারামারি হয়নি। মারামারি হয়েছে ছাত্র পরিষদ (সিপি) ও টিএমসিপির মধ্যে। সিপির বিরুদ্ধে টিএমসিপির সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আর টিএমসিপির বিরুদ্ধে কলেজে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
কলেজের ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএফআইয়ের সোমনাথ রায় অসুস্থতার কারণে সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষের কাছে। অধ্যক্ষ সাময়িক ভাবে জিএস-এর দায়িত্ব এজিএস-এর হাতে দেওয়ার কথা সিপি-র সদস্যদের জানিয়েছেন। একে ঘিরেই এ দিন কলেজে ঝামেলার সূত্রপাত। বিদ্যাসাগর কলেজ ইউনিটের টিএমসিপির সাধারণ সম্পাদক গৌতম সূত্রধর বলেন, “জিএস পদত্যাগ করায় এজিএস প্রিয়তোষ দত্তকে সেই দায়িত্ব দেন। এতে আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি ছিল জিএস-এর দাবি অধ্যক্ষের কাছে রাখতে হবে।”
এজিএস প্রথমে এসএফআই ছেড়ে টিএমসিপিতে যোগ দেন। পরে সিপিতে যান। গৌতম সূত্রধর বলেন, “এই মুহূর্তে ছাত্র সংসদের সদস্য আমাদের বেশি। গত দু’দিন থেকে এই নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। শুক্রবার দুপুরে অধ্যক্ষ সকলকে নিয়ে বৈঠকে বসেন।” তাঁর অভিযোগ, “বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বৈঠক প্রায় শেষের দিকে। হঠাৎ সিপি-র এক বহিরাগত বৈঠকে ঢুকে আমাদের দু’জন সমর্থককে মারধর করে।” তিনি বলেন, “এর প্রতিবাদে আমরা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখি এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাই।” সিপি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি পদ্মনীল মণ্ডল বলেন, “এ সব মিথ্যা অভিযোগ। আসলে এজিএস টিমসিপি ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দেওয়াই ছিল তাঁদের ক্ষোভের মূল কারণ।”
তাঁর দাবি, “তাই ওঁরা কোনও নিয়ম নীতি মানতে চাইছেন না।” অধ্যক্ষ লক্ষ্মীনারায়ণ মণ্ডল বলেন, “জিএস অসুস্থতার কারণে কিছু দিনের জন্য দায়িত্ব থেকে সরে থাকতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। সুস্থ হয়ে ফিরে এলে তিনি আবার দায়িত্বভার বুঝে নেবেন। তাই এজিএসকে সাময়িক ভাবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সকলকে জানানো হয়।” তিনি বলেন, “বৈঠক চলাকালীন বরিহাগত দু’এক জন ঢুকে পড়ে। এর প্রতিবাদে কিছু ছাত্র আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। টিচার্সরুমে আলমারি উল্টে দেয়।” তিনি জানান, যাঁরা মার খেয়েছে বলে থানায় অভিযোগ জানাবেন, সেই অভিযোগপত্রে তিনি তাঁর মন্তব্য লিখে দিয়েছেন। |