|
|
|
|
ছাত্র সংঘর্ষ ঠেকাতে দ্বিধাবিভক্ত শিক্ষকেরাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
‘ঐক্যবদ্ধ’ হয়ে কলেজে ছাত্র সংঘর্ষ ঠেকানোর বিষয় নিয়ে শিক্ষকেরাই ‘দ্বিধা বিভক্ত’।
ওয়েবকুটা, ডিটিএএফএফ নাকি তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনও সংগঠনশিক্ষকেরা পরিবর্তন-পরবর্তী এই সময়ে কার সমর্থন করবেন তা নিয়েই দ্বিধা বিভক্ত। জটিলতা তা নিয়েই।
সম্প্রিত ডিটিএএফএফ একটি কনভেনশনের আয়োজন করে। সেখানে জেলার বিভিন্ন কলেজের অন্তত ৭০ জন শিক্ষক-সহ বহরমপুর কৃষ্ণনাথ ও জঙ্গিপুর কলেজের অধ্যক্ষরা হাজির ছিলেন।
বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ অধ্যক্ষ সোমেশ রায় বলেন, “ওয়েবকুটা ভেঙে শিক্ষকরা যদি বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তোলেন, তাহলে কলেজে ছাত্র-আন্দোলনের নামে জঙ্গিপনা আরও বেড়ে যাবে। ফলে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের সংহতি বজায় রাখতে হবে।”
ডিটিএএফএফ-এর মুর্শিদাবাদ জেলা আহ্বায়ক সুকুমার মাল বলেন, “ওয়েবকুটা নামে সর্বদলীয় সংগঠন হলেও সেখানে সিপিএম বিরোধী শিক্ষকদের ব্রাত্য করে রাখা হয়। এই মুহূর্তে ওয়েবকুটার নেতৃত্বে রয়েছে শিক্ষা গণতন্ত্রীকরণ সংস্থা, যা বামফ্রন্টের সংগঠন। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন-সহ কোনও বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে বামবিরোধী শিক্ষকদের কথা গুরুত্ব পায় না। এই স্বেচ্ছাচারের অবসান চাই।”
এই অবস্থায় রাজ্য রাজনীতির পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বামবিরোধী সংগঠন হিসেবে ডিটিএএফএফ যাতে ওয়েবকুটার নেতৃত্বে আসতে পারে, সে জন্য সংগঠনকে মজবুত করার পাশাপাশি বামবিরোধী মনোভাবাপন্ন আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষককে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার জন্যই এই কনভেনশন বলে সুকুমারবাবু জানান।
ওয়েবকুটার মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক পার্থ দাস বলেন, “ওয়েবকুটার মধ্যে ভাঙন ধরানোর অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। শিক্ষকদের সংহতি নষ্ট করা হলে তার সুযোগ নেবে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। ফলে কলেজগুলিতে ছাত্র সংঘর্ষ আরও বাড়বে।”
এদিকে ওই কনভেনশন উপলক্ষে যে লিফলেটে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে নাম ছাপা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনুমতি ছাড়াই লিফলেটে নাম প্রকাশিত হওয়ায় বেশ কয়েক জন কলেজ শিক্ষক মৌখিক ভাবে প্রতিবাদ করেন বলে অভিযোগ। বহরমপুর কলেজের শিক্ষক তথা তৃণমূল শিক্ষা সেলের নদিয়া-মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির মুর্শিদাবাদ জেলার আহ্বায়ক শান্তনু ভাদুড়ি বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে বামবিরোধী আন্দোলনের জন্য তৃণমূলের নিজস্ব সংগঠন রয়েছে। ফলে অন্য কোনও সংগঠনের সঙ্গে আমি নিজের নাম জড়াতে চাই না। এমনকী লিফলেট নাম প্রকাশের আগে আমার অনুমতি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।” |
|
|
|
|
|