চাঁচল ডিপোয় কর্মী বিক্ষোভ
৫ কর্মীর বেতন বাবদ প্রয়োজন ১২ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। জুলাই মাসের বেতন বাবদ গত শনিবার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম কর্তৃপক্ষ চাঁচল ডিপোয় পাঠিয়েছিলেন ৯ লক্ষ টাকা। কর্মীদের প্রাপ্য বেতন অনুসারে ওই টাকা ভাগ করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বেতন নেওয়া দূরের কথা, চাঁচল ডিপোর সিটু এবং আইএনটিইউসি কর্মীরা রবিবার সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভে ডিপোর স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাহত হয়। ডিপো ইনচার্জ কিশোরকুমার লাল বলেন, “কর্মীরা পুরো বেতন চান। বাধ্য হয়ে টাকা থানায় গচ্ছিত রেখেছি। সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পরিস্থিতির আশু উন্নতির আশা দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন, “সমস্ত ডিপোয় কম টাকা পাঠানো হয়েছে। কর্মীদের পুরো বেতন নিতে হলে আয় বাড়াতে হবে। বেতন বাবদ যে টাকা পাঠানো হয়েছে তা রাজ্যের দেয় ভরতুকি।” ২৫ ও ২৯ জুলাই কলকাতায় পরিবহণ নিগমগুলির বৈঠক হয়। অর্থমন্ত্রী, পরিবহণ মন্ত্রীর পাশাপাশি চেয়ারম্যানও ছিলেন। সেখানেই ভরতুকি তুলে দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে। নিগমের চেয়ারম্যান বলেন, “ওই বৈঠকে আমি ধাপে ধাপে ভরতুকি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিই। তার পরে এ বার ৮০ শতাংশ ভরতুকির টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু কর্মীরা বাকি ২০ শতাংশ টাকাও যদিও আয় করতে না-পারেন তা হলে পুরো বেতন কোথা থেকে দেওয়া হবে?” চাঁচল ডিপোর সিটু নেতা কুমারেশ ভট্টাচার্য ও আইএনটিইউসি নেতা নিখিলরঞ্জন মণ্ডলের পাল্টা প্রশ্ন, “বাস, কর্মী না বাড়ালে আয় বাড়বে কেমন করে?” নিগমের চেয়ারম্যান এ জন্য পূর্বতন বাম সরকারকেই দায়ী করে তিনি বলেন, “বামেরা এনবিএসটিসিকে শেষ করে দিয়েছে। সংস্থার ঘাড়ে ২০০ কোটি টাকা ঋণ। কর্মীদের বকেয়া পিএফ ৭৫ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। পুরো বেতন নিতে হলে আয় বাড়ানোর দায়িত্বও নিতে হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.