পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ বিষ্ণুপুর হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
শিশু বিভাগের সামনের বারান্দায় ঘুরঘুর করছে কুকুর। শল্যচিকিৎসা বিভাগে রোগীর খাবারে মুখ দিচ্ছে বিড়াল। কোথাও জমে রয়েছে প্লাস্টিক ও রক্তমাখা ব্যান্ডেজ। বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে পা রাখলে চোখে পড়বে এই ছবি। এই হাসপাতালকে সদ্য জেলা হাসপাতালের মর্যাদা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও হাসপাতালের ভিতরে বাইরে অপরিচ্ছন্নতার নজর কাড়ছে সবার। নাকে রুমাল দিয়ে হাসপাতালে যেতে আসতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের। রোগীদের অবস্থাও তথৈবচ। পেটের ব্যাথা নিয়ে বিষ্ণুপুর থানার হেতিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাখাল মাঝি বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। |
|
ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিড়াল। নিজস্ব চিত্র। |
তিনি বললেন, “বাড়ি থেকে আনা খাবারই বলুন বা হাসপাতাল থেকে দেওয়া খাবারসবেতেই মুখ দিচ্ছে বিড়াল। তাদের তাড়ানোর মানসিকতা নেই হাসপাতালের কর্মীদের।” এক সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে বসে থাকা বিষ্ণুপুর শহরের বাসিন্দা অর্পিতা দাস বললেন, “কুকুরগুলো হাঁ করে তাকিয়ে থাকে বাচ্চার দিকে। ভয়ে কোল ছাড়া করি না। যে কোনও সময় বিপদ আসতে পারে।” রোগীদের ক্ষোভ, জানলা খুললেই ঘরে ঢুকছে দুর্গন্ধ। কারণ ঘরের পিছনেই জমছে নোংরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। এ সবরের পাশাপাশি এই হাসপাতালে আরও একটি সমস্যা রয়েছে। হাসপাতালের চারপাশে পার্থেনিয়ামের ছড়াছড়ি। ফলে বহির্বিভাগে দেখাতে আসা রোগীদের চর্মরোগ বাড়ছে। দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই সব অব্যস্থা নিয়ে মাঝে মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন হাসপাতাল সুপার রবীন্দ্রনাথ প্রধান। এ ক্ষেত্রে তাঁর একটাই বক্তব্য, “লোকবল কম। তবে আমাদের দিক থেকে কোনও চেষ্টার ত্রুটি হচ্ছে না।” বাস্তবে ওই ত্রুটির কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। সুপারকে জানিয়ে কাজ না হওয়ায় এ বার জেলা স্বাস্থ্যকর্তার কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন রোগীরা। |
|