|
|
|
|
২৩৫ কোটির বিনিয়োগ শিক্ষায় |
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও
ম্যানেজমেন্ট কলেজ এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুল জলপাইগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
দীর্ঘ পাঁচ বছরের চেষ্টার পরে অবশেষে প্রাণ পেল কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ের স্বপ্ন। শনিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি শহরে এসে দেশের অন্যতম বেসরকারি শিক্ষা সংস্থা ২৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে জলপাইগুড়ি শহরে একটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ এবং ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল তৈরির ঘোষণা করেছে। সংস্থার চেয়ারম্যান সত্যম রায়চৌধুরী শনিবার বলেন, “সংস্থার দেশ জুড়ে ৪৫টি ক্যাম্পাসে ৭১টি কলেজ রয়েছে। আমরা এখন পশ্চিমবঙ্গে বেশি করে শিক্ষাকেন্দ্র খুলতে আগ্রহী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও তাই চাইছেন। বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ের উদ্যোগে জলপাইগুড়িতে আসতে পেরেছি। দেবপ্রসাদবাবু এ দিন আমাদের মেডিক্যাল কলেজের জমি দেখিয়েছেন। খুবই ভাল জায়গা। চলতি মাসেই স্কুল আর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাজ শুরু হয়ে যাবে। একই সময়ে মেডিক্যাল কলেজের কাজও শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।” সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিবিএসসি মাধ্যমের স্কুল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ করবে ওই সংস্থাটি। মেডিক্যাল কলেজের জন্য বিনিয়োগ হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “গতবারে জলপাইগুড়ির বিধায়ক নির্বাচিত হয়েই শহরে একটি মেডিক্যাল কলেজের স্বপ্ন দেখেছিলাম। বিস্তর কাঠখড় পুড়িয়ে এক সময় যখন প্রায় হাল ছাড়তে বসেছিলাম তখনই ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ওঁরা আগ্রহ প্রকাশ করেন। সংস্থাটি শহরে জমি কিনতে শুরু করে দিয়েছে। সরকারের সহযোগিতার বিষয়টি আমি দেখছি।”
২০০৫ সালে প্রথমবার জলপাইগুড়ির বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার মাস তিনেকের মধ্যেই দিল্লির এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে জলপাইগুড়িতে বিনিয়োগ করার জন্য নিয়ে এসেছিলেন দেবপ্রসাদবাবু। সংস্থাটি তৎকালীন রাজ্য সরকারকে বিস্তর চিঠি দিয়েও কলেজের জমি পায়নি বলে অভিযোগ করে বছর চারেক পরে বিনিয়োগ করবে না বলে ঘোষণা করে দেয়। মধ্যবর্তী সময়ে আরও দু-তিনটে সংস্থাকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে এলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন দেবপ্রসাদবাবু। শনিবার সন্ধ্যায় দেবপ্রসাদ বাবুকে পাশে বসিয়ে দেশের অগ্রণী ওই শিক্ষা সংস্থার (যাদের শিলিগুড়িতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে) চেয়ারম্যানের ঘোষণায় সব জল্পনার অবসান হল বলেই মনে করা হচ্ছে। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই স্কুল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের জন্য জলপাইগুড়ির রাজবাড়ি পাড়ায় প্রায় ১০ একর জমি কিনে নিয়েছে। চলতি মাস থেকেই যার ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে। ২০১৩ সালের শিক্ষাবর্ষ থেকে যার কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। ৫০০ শয্যার একটি অত্যাধুনিক মাল্টিফেসিলিটি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের জন্য জলপাইগুড়ি টিবি হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় ১৬ একর জমিও চিহ্নিত হয়েছে। এই জমির বেশ খানিকটা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধীনে রয়েছে। যার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|