|
|
|
|
|
|
|
বলা ও শোনার সমস্যার নিরাময় |
জন্ম থেকে অথবা প্রাপ্তবয়সে অনেকেই কান বা জিভের নানান সমস্যায় ভোগেন। এই দুটি ইন্দ্রিয়ের সমস্যা নিরাময়ের জন্য বিশেষ পরিষেবা হল স্পিচ ল্যাঙ্গোয়েজ প্যাথোলজি অ্যান্ড অডিয়োলজি। সাধারণত স্পিচ ল্যাঙ্গোয়েজ প্যাথোলজি এবং অডিয়োলজি দুটি ভিন্ন বিষয় হলেও চিকিৎসা সূত্রে দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। স্পিচ থেরাপিস্ট ও অডিয়োলজিস্টদের কাজ হল: সংশ্লিষ্ট সমস্যার সূত্র নির্ণয় করে নানান চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীকে সাধারণ জীবনধারায় ফিরিয়ে আনা।
বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা যারা উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে, তারা স্নাতকস্তরে এই বিষয়টি নিয়ে পড়তে পারে। পাঠ্যক্রমের মেয়াদ সাধারণত হয় চার বছরের। স্নাতকোত্তর স্তরে যেমন এই একই বিষয় নিয়ে পড়া যায়, তেমনই আবার বেছে নেওয়া যায় লিঙ্গুয়িস্টিক্স বা ক্লিনিক্যাল সাইকলজি-র মতো বিষয়ও। আলি ইয়াভর জাঙ্গ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর দি হিয়ারিং হ্যান্ডিক্যাপ্ড (www.ayjnihh.nic.in)-এ অডিয়োলজি এবং স্পিচ ল্যাঙ্গোয়েজ প্যাথোলজি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কোর্স আছে। কলকাতাতেও (ইস্টার্ন রিজিয়োনাল সেন্টার) এদের শাখা রয়েছে। মনিপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিপাল কলেজ অব অ্যালায়েড হেলথ সায়েন্সেস-এও (http://www.manipal.edu/) এই বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স আছে।
l চার বছরের মেয়াদে তিন বছরের কোর্সওয়ার্ক এবং এক বছরের ইন্টার্নশিপ।
l এই বিষয়ে ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সও আছে।
l কোর্স-শেষে বিভিন্ন হাসপাতাল, পুনর্বাসন কেন্দ্র, গবেষণাকেন্দ্র এবং সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাকরি পাওয়া যাবে।
ভবিষ্যতে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স-এ বি এসসি পড়তে চাই। উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার কেমন সুযোগ রয়েছে? কাজের কী কী সুযোগ পাওয়া যাবে?
দিবীতি দত্ত, কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু কলেজে স্নাতকস্তরে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স’ বিষয়টি পড়ানো হয়। যেমন, বি বি কলেজ, আসানসোল; বিবেকানন্দ কলেজ, বেহালা; নেতাজিনগর কলেজ; কাঁচরাপাড়া কলেজ; বহরমপুর গার্লস কলেজ প্রভৃতি। তবে, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স প্রধানত স্নাতকোত্তর স্তরেই পড়ানো হয়। সে ক্ষেত্রে বটানি, জিঅলজি, কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, ফিজিয়োলজি, মাইক্রোবায়োলজি প্রভৃতি কোনও বিষয়ে অনার্স-সহ স্নাতক হওয়া প্রয়োজন। রাজ্যের যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়া যায়, সেগুলি হল কল্যাণী (http://www.klyuniv.ac.in/), বিদ্যাসাগর (http://www.vidyasagar.ac.in/), কলকাতা (http://www.caluniv.ac.in/) প্রভৃতি। কোর্সের মেয়াদ ২ বছর। এর জন্য স্নাতক স্তরে ৫০-৫৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোর্সে ভর্তি হতে অ্যাডমিশন টেস্টে বসতে হয়। এ ছাড়া, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অ্যান্ড সোশাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট-এ (http://www.iiswbm.edu/) এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্টের ২ বছরের কোর্স রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (http://www.jadavpur.edu/) এই বিষয়ে এম ফিল করার সুযোগ আছে। গত বছর থেকে যাদবপুরে এনভায়রনমেন্টাল রেগুলেশনস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এ ১ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়েছে। বি এসসি’তে ৪৫-৫০ শতাংশ নম্বর পেলে এখানে ভর্তির সুযোগ আছে।
রাজ্যের বাইরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (http://www.du.ac.in/index.php?id=4), জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (http://www.jnu.ac.in/), অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় (www.andhrauniversity.info), কোচিন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজিতে (http://ses.cusat.ac.in) এই বিষয়ে বি এসসি, এম এসসি, বি ই, বি-টেক পড়ানো হয়।
এই বিষয় নিয়ে পড়ার পর গবেষণার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, ফরেস্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, আরবান প্ল্যানিং, ওয়াটার রিসোর্স অ্যান্ড এগ্রিকালচার প্রভৃতি সরকারি দফতরগুলিতে চাকরির সুযোগ থাকে।
দর্শন নিয়ে এম এ পাশ করেছি। ভবিষ্যতে ‘লাইব্রেরি সায়েন্স’ কোর্স করতে চাই। কোথায় কোথায় এই কোর্স করানো হয়? কী রকম যোগ্যতার প্রয়োজন? চাকরির সুযোগ কেমন?
তনুশ্রী রক্ষিত, চন্দননগর
এ রাজ্যে লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পড়ানো হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (www.jadavpur.edu)। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (http://www.buruniv.ac.in/) রয়েছে স্নাতক এবং এম ফিল কোর্স। এ ছাড়া, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও (www.caluniv.ac.in) এই বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এম ফিল এবং পিএইচ ডি করানো হয়। স্নাতক এবং এম ফিল-এর জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয় এবং স্নাতকোত্তরে নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হয়। যে কোনও বিষয়ে অনার্স-সহ স্নাতক, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং বা আইন বিষয়ের গ্র্যাজুয়েটরা লাইব্রেরি সায়েন্স-এ স্নাতক স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে পারে। স্নাতকোত্তরের পরেও এই পরীক্ষায় বসা যায়। লাইব্রেরি সায়েন্স পড়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ বা সরকারি স্তরের গ্রন্থাগারে চাকরি পাওয়া সম্ভব। |
|
|
ফোকাস
ইমতিয়াজ গোলাম আহমেদ
শিক্ষক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
|
দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছি। ভবিষ্যতে আইন নিয়ে পড়তে চাই। কোথায় পড়া যাবে? উচ্চশিক্ষার কী সুযোগ আছে?
ইকবাল হক, কাঁকুড়গাছি
পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতে তিন বছর (গ্র্যাজুয়েশনের পর) ও পাঁচ বছরের (উচ্চ মাধ্যমিকের পর) এল এল বি করা যায়। রাজ্যে কলকাতা, কল্যাণী, বর্ধমান, বিদ্যাসাগর এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ অনেক কলেজে স্নাতক স্তরে আইন পড়ানো হয়। দু’বছরের এল এল এম কোর্স করা যায় কলকাতা, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিকাল সায়েন্সে এবং হলদিয়া ল কলেজে। এল এল এম পড়ার সময় কিছু শাখায় স্পেশালাইজেশন করা যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিমিনাল ল এবং বিজনেস ল-এর যে কোনও একটিতে স্পেশালাইজেশন করা যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এল এল বি এবং এল এল এম পড়ার জন্য অ্যাডমিশন টেস্ট দিতে হয়। আইন নিয়ে উচ্চশিক্ষা করার ক্ষেত্রে হায়দরাবাদের নালসার, যোধপুর ল স্কুল, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এল এল এম করে পিএইচ ডি করা যায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই। |
|
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:
হোম পেজ, প্রস্তুতি,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|