|
|
|
|
বার্ধক্য, বিধবা ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
প্রাপকদের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বার্ধক্য ও বিধবা ভাতার টাকা পেলেন না বেশ কয়েকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। ভাতার টাকা দ্রুত পাওয়ার দাবিতে ওই প্রাপকেরা বনগাঁর মহকুমাশাসক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এবং পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্যের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। সঞ্জয়বাবু বলেন, “তালিকাভুক্ত হলে টাকা পাওয়ার কথা। কী কারণে ওঁরা টাকা পাননি তা পুর কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিগড়ের ১৩ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁরা বাধর্ক্য বা বিধবা ভাতা পাননি। অথচ তালিকাভুক্ত অন্যরা ওই ভাতা পেয়েছেন। গত ১৫ জুন ওই তালিকা তৈরি হয়। আবেদনকারীদের বক্তব্য, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু সেখানে এ বাবদ কোনও টাকা জমা পড়েনি। পুরসভা সূ্ত্রে জানা হয়েছে, তালিকায় থাকা ৭ হাজার ৮৭৫ জন প্রাপকের মধ্যে বেশিরভাগই টাকা পেয়েছেন। কয়েকজন পাননি।
কেন তাঁরা পাননি, সে প্রশ্নে চেয়ারম্যান জানান, ওই প্রাপকদের বলা হয়েছিল তাঁদের পরিচিতি শনাক্তকরণের জন্য তাঁরা যেন স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে দেখা করেন। সে জন্য তাঁদের ব্যাঙ্কের পাশ বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স কপি জমা দিতে বলা হয়েছিল। এমনকী এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। কিন্তু অনেকেই তা করেননি। যদিও আবেদনকারীদের বক্তব্য, তাঁদের অনেকেই সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলারের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পাশ বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স কপি জমা নেননি। পরে তাঁরা তা রেজিষ্ট্রি করে পাঠান।
এ ব্যাপারে ওই কাউন্সিলার কৃষ্ণা রায় বলেন, “এই ওয়ার্ডের আগের কাউন্সিলারের আমলে নতুন তালিকা তৈরি হয়। যাঁরা পাননি তাঁরা বাদে সকলেই আমার কাছে তাঁদের পরিচিতি সংক্রান্ত নথি জমা দিয়েছেন। টাকাও পেয়ে গিয়েছেন।” তিনি আরও জানান, পুরসভার কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি ওই প্রাপকদের পাঠানো চিঠি নিতে পারেননি। তবে তিনি চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছেন ওই আবেদনকারীদের শনাক্ত করে ভাতার টাকা দিয়ে দিতে। সে ক্ষেত্রে পুরসভাই তার জন্য দায়ী থাকবে।
চেয়ারম্যান বলেন, “নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের মাধ্যমেই সকল প্রাপককে ওই আবেদনকারীদের পরিচিতি শনাক্তকরণ করাতে হয়। ওই আবেদনকারীরা তা না করাতেই সমস্যা হয়েছে। তবে শীঘ্রই তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা হবে।’’ |
|
|
|
|
|