|
|
|
|
জঙ্গলমহল প্যাসেঞ্জার নিয়ে স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বছর দেড়েক আগে ‘ঝাড়গ্রাম-মেদিনীপুর জঙ্গলমহল মেমু প্যাসেঞ্জার’ চালু করেছিলেন মতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গত বছর মে মাসে ঝাড়গ্রামের সর্ডিহায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে নাশকতা-কাণ্ডের পর জঙ্গলমহল মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি প্রত্যাহার করে নেন রেল কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের গোড়ায় বিধানসভা ভোটের আগে কেবলমাত্র আপ ট্রেনটি চালু হয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-টাটানগর শাখার নিত্যযাত্রীদের সংগঠন‘রেল পরিষেবা সংগ্রাম কমিটি’ সম্প্রতি রেল-কর্তৃপক্ষের কাছে ডাউন ট্রেনটি চালানোর দাবি করেছে। পাশাপাশি, জঙ্গলমহল মেমু প্যসেঞ্জার আপ ও ডাউন দু’টি ট্রেনেরই সময় পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে রেল যাত্রী সংগঠনটি। ‘রেল পরিষেবা সংগ্রাম কমিটি’র আহ্বায়ক তপন চক্রবর্তী বলেন, “প্রতি দিন চাকরিজীবী ও ছাত্রছাত্রী-সহ অসংখ্য নিত্যযাত্রী ঝাড়গ্রাম থেকে মেদিনীপুরে যাতায়াত করেন। বর্তমানে বন্ধ থাকা ডাউন ট্রেনটি আগে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে ঝাড়গ্রাম থেকে ছাড়ত। কিন্তু এত সকালের ট্রেনটি ধরলে নিত্যযাত্রীরা অফিস-কাছারি ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনেক আগে মেদিনীপুরে পৌঁছে যেতেন। ঝাড়গ্রাম থেকে ডাউন ট্রেনটির রওনার সময় দেড় ঘন্টা পিছিয়ে দিয়ে (সকাল সাড়ে ৮টা) অবিলম্বে ওই ট্রেনটি চালুর দাবি জানানো হয়েছে।” নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে কয়েক মাস আগে চালু হওয়া আপ ট্রেনটির মেদিনীপুর থেকে ছাড়ার সময় পরিবর্তন করে বিকেল ৪ টে ৪০ মিনিটের পরিবর্তে সোয়া ৫টা করার দাবি জানিয়েছে রেল পরিষেবা সংগ্রাম কমিটি। খড়্গপুর রেলের এক পদস্থ কর্তা জানান, “ঝাড়গ্রাম থেকে মেদিনীপুরগামী সকালের ডাউন জঙ্গলমহল মেমু প্যাসেঞ্জারটি পুনরায় চালানো হবে। তবে কবে থেকে ডাউন ট্রেনটি চলবে তা এখনও ঠিক হয়নি। ট্রেনের সময় পরিবর্তনের বিষয়টিও বিবেচনা করে হবে।” সম্প্রতি রেল-কর্তৃপক্ষকে পাঠানো এক চিঠিতে রেল-যাত্রী সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করে ট্রেনটির সময়সূচির পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ (সিপিএম) পুলিনবিহারী বাস্কেও। |
|
|
|
|
|