|
|
|
|
বেতন পাচ্ছেন না অস্থায়ী শিক্ষকেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আশ্রম হস্টেলের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান-উন্নয়নে কোচিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তার জন্য আশ্রম হস্টেলগুলিতে অস্থায়ী ভাবে কয়েক জন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। ৬ মাস হতে চলল সেই শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত বেতন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আবেদন জানালেও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ। কেন এমন ঘটছে? অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের আধিকারিক জ্যোতির্ময় তাঁতির বক্তব্য, “সর্বশিক্ষা অভিযানের ‘ইনোভেটিভ প্ল্যান’-এ প্রাইভেট টিউটর হিসাবে ওই শিক্ষকের নিয়োগ করা হয়েছিল। সর্বশিক্ষা থেকে বছরে এক বার টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা পেলেই এক সঙ্গে ওঁদেরও টাকাও মিটিয়ে দেওয়া হয়। মাসে মাসে টাকা দেওয়া যায়নি।”
দফতরের দাবি, সর্বশিক্ষা থেকে টাকা এলেই ওই প্রাইভেট টিউটরদের বেতন দেওয়া হবে, এ কথা জানিয়েই নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ওই শিক্ষকদের বক্তব্য, প্রতি বারই বছরে একবার টাকা পাওয়া যাবে এ কথা জানানো হয়নি। নয়াগ্রামের পাথরডহরা আশ্রম হস্টেলের শিক্ষক সদানন্দ ভুঁইয়া বলেন, “গরিব মানুষ। ৬ মাস মাইনে পাইনি। মাইনে দিতে এত দেরি হবে তা জানতাম না। ফলে সমস্যায় পড়ছি। নিয়মিত কাজ করেও যদি মাসে মাইনে না পাওয়া যায়, তা হলে কী ভাবে চলবে?”
মূলত, জঙ্গলমহলের আশ্রম হস্টেলের জন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। নানা কারণে আশ্রম হস্টেলে থাকা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান কমে যাচ্ছিল বলে প্রশাসন মনে করেছিল। ওই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে ‘প্রাইভেট টিউটর’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এলাকারই শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের সেই কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। ২০১০ সাল থেকেই প্রকল্প শুরু হয়। কিন্তু প্রতি মাসে বেতন না দিলে শিক্ষকেরা উৎসাহ হারাবেন, এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের বক্তব্য, যত দিন প্রয়োজন তত দিনই ওই প্রাইভেট টিউটর নিয়োগ করা হবে। ওঁদের জন্য স্থায়ী কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়নি। তবে ওই বিশেষ শিক্ষকদের জন্য বিশেষ কিছু করা যায় কি না, সে নিয়ে সর্বশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও প্রশাসন জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|