|
|
|
|
ক্লাব বনাম ফেডারেশন যুদ্ধে হঠাৎ নতুন মোড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সংঘাত না সমঝোতা? ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ফুটবলার ছাড়া নিয়ে ক্লাবগুলির সঙ্গে ‘যুদ্ধে’ জাতীয় ফুটবল সংস্থা শেষ পর্যন্ত কোন পথ নেবে, তা ঠিক হয়ে যাবে আজ সোমবার দুপুরে। ফেডারেশনের জরুরি কমিটির সভায়।
১২ অগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দল নিয়ে যাওয়ার কথা আর্মান্দো কোলাসোর। সেখানে তিনটি ম্যাচ খেলার কথা ভারতের। সফরে যাওয়ার পাঁচ দিন আগেও দল নিয়ে জট অব্যাহত। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান কোনও ফুটবলার এখনও ছাড়েনি। ক্লাইম্যাক্স লরেন্স, সুব্রত পালরা দিল্লিতে এসে পৌঁছলেও তাদের ক্লাবও বেঁকে বসেছে। স্বয়ং জাতীয় কোচ কোলাসোকে তাঁর ক্লাব ডেম্পো ছাড়বে কি না তা নিয়েই উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের ডাকা জরুরি সভার দিকে তাকিয়ে কর্তারা। সভার বারো ঘণ্টা আগে ফেডারেশন কর্তাদের যা মনোভাব তা কিন্তু সংঘাতেরই। দিল্লিতে যোগাযোগ করা হলে স্বয়ং ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বলে দিলেন, “ফেডারেশনের নিয়মানুযায়ী দেশের প্রয়োজনে ক্লাবগুলির ফুটবলার ছাড়া বাধ্যতামূলক। ফুটবলার ছাড়তেই হবে ক্লাবকে। কিন্তু সেটা কী ভাবে বা কোন পথে হবে সেটাই ঠিক করবে কমিটি। আমি কলকাতায় গিয়ে ক্লাবগুলির সঙ্গে আলোচনা করেছি। অনুরোধ করেছি। সংঘাতে যেতে চাই না বলেই এ সব করা। কিন্তু তাতেও যখন কাজ হয়নি, তখন আইন তো প্রয়োগ করতেই হবে।”
কুশলবাবুর যা মনোভাব তাতে একটা এসপার-ওসপার চাইতে পারেন ফেডারেশন কর্তারা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় আইন প্রয়োগ করলেও যদি ক্লাবগুলি ফুটবলার না ছাড়ে? শান্ত স্বভাবের সচিব বলে ফেলেন, “সেটাও আইনে বলা আছে। বড়জোর কী হবে? এক বছর আই লিগ হবে না। এর বেশি তো কিছু হবে না। কিন্তু একটা কিছু হওয়া দরকার।” ফেডারেশন সূত্রের খবর, গঠনতন্ত্রের ১৩ জে এবং ১৩ আর ধারা প্রয়োগ হবে। যাতে বলা আছে, দেশের হয়ে খেলার জন্য ফেডারেশন যে-কোনও ফুটবলারকে চাইলে ক্লাব তা ছাড়তে বাধ্য। ক্লাবগুলো আবার বলছে, বিশ্বকাপ বা অলিম্পিকের মতো বড় টুর্নামেন্টে ফুটবলার ছাড়তে তারা বাধ্য, প্রদর্শনী ম্যাচে নয়।
কলকাতায় এসে কুশলবাবু ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কথা বলার পর তারা কয়েক জন ফুটবলারকে ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু মোহনবাগান রবিবার রাত পর্যন্ত কিছুই জানায়নি ফেডারেশনকে। কুশলবাবু বললেন, “মোহনবাগান বলেছিল টিম পাঠানোর জন্য যতটা সম্ভব সহযোগিতা করবে। কিন্তু কিছুই করল না। ডেম্পোও হঠাৎ চিঠি দিল। আমি সব কথা জানিয়েছি প্রেসিডেন্টকে। উনিই সভা ডাকতে বললেন। জরুরি সভা যখন, একটা কিছু তো হবেই। আর হাতে সময়ও নেই।” শোনা যাচ্ছে, তাঁর অনুরোধ সত্ত্বেও ক্লাবগুলি ইন্ডিয়ান অ্যারোজের ফুটবলার না ছাড়ায় প্রফুল্ল পটেল প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। এ বার সে জন্যই কিছু একটা করতে চাইছেন তিনি। |
|
|
|
|
|