|
|
|
|
শ্রদ্ধায় রবীন্দ্র স্মরণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রবিপ্রয়াণের ৭০ বছর স্মরণে আজ গুয়াহাটির শিল্পগ্রামে সম্মিলিত হলেন উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীর মানুষ। ভারত সরকারের উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক পরিষদ ও ব্যতিক্রম জনচেতনা ও সমাজ-বিকাশ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে সকাল থেকে রাত অবধি চলল নানা অনুষ্ঠান। অংশ নিলেন অসমিয়া, বাঙালি, বড়ো, খাসি, ত্রিপুরি, নেপালি, কার্বি, মণিপুরি-সহ নানা ভাষাভাষীর রবীন্দ্র অনুরাগী। আজ সকালে, উদ্যাপনের সূচনা হয় প্রভাত ফেরি দিয়ে। ব্যতিক্রম সাংস্কৃতিক মঞ্চের শিল্পীরা গানে রবীন্দ্র বন্দনা শেষ করার পরে বেলা ১১ টা থেকে শুরু হয় আলোচনাচক্র।
আলোচনায় বর্তমান সমাজে রবীন্দ্রনাথের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বক্তৃতা করেন রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ অশ্রুকুমার শিকদার, ঊষারঞ্জন ভট্টাচার্য, অসম সাহিত্য সভার সভাপতি রং বং তেরং, সোম কামেই, শান্তি থাপা, সুরথ নার্জারি। শান্তি থাপার কথায়, “রবীন্দ্রনাথ হৃদয়ঙ্গম করলে সন্ত্রাসের পথে আর হাঁটবে না কেউ। নারীর মর্যাদা রবীন্দ্রনাথের মতো করে কজন বুঝেছেন? কবিকে সম্মান জানালে, তাঁর কিছু আসে যায় না, বরং নিজেরই সম্মান বাড়ে।”
অশ্রুকুমার শিকদার রবীন্দ্রনাথের অনুবাদ ও তার সমালোচনা নিয়ে আলোচনা করেন। রবীন্দ্রনাথের কবিতার বোধ ইংরাজি ভাষায় সেভাবে ফুটে বের হয়নি বলেই তাঁর অভিমত। এই প্রসঙ্গে এডওয়র্ড টমসন, ওকোম্পো থেকে বুদ্ধদেব বসুর সমালোচনার প্রসঙ্গও টানেন তিনি। এ দিনের কবি স্মরণ বেশির ভাগটাই হল ইংরাজিতে। ব্যতিক্রম রং বং তেরং। অসম সাহিত্য সভার সভাপতি তথা কার্বি সাহিত্যিক সাফ বলেন, “রবিঠাকুর আমাদের মনের কবি। এখানে হাজির অধিকাংশ মানুষ হয় অসমিয়া বা বাঙালি। আমি তাই বাংলা ও অসমিয়া ভাষায় তাঁর কথা আলোচনা করব।” প্রেক্ষাগৃহে স্বতঃস্ফূর্ত হাততালি। মণিপুরী গবেষক বিনীতা দেবী বলেন, “তিনি আমাদের প্রাণের ঠাকুর। তাই তো আমাদের ঘরে অন্য ঠাকুরের সঙ্গেই রবি ঠাকুরের ঠাঁই।” আলোচনা চলে, রবীন্দ্রনাথ ও নারীবাদ নিয়েও। রবি জীবনের নানা দিক ও আঙ্গিক নিয়ে গবেষণা মূলক প্রবন্ধপাঠ ছিল বিকেল অবধি। এরপর সন্ধ্যায়, নাচে-গানে রবীন্দ্র স্মৃতি সন্ধ্যা পালন হয়। |
|
|
|
|
|