|
|
|
|
উদ্বিগ্ন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক |
মার্কিন ঋণে ভারতের অবদান ৪১০০ কোটি ডলার |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি ডলার ঋণের বোঝায় ভারতের অবদান ৪১০০ কোটি ডলার। যা টাকার অঙ্কে ১.৮৩ লক্ষ কোটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত, মার্কিন অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ঋণপত্রের মাধ্যমে গচ্ছিত এই অর্থের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা এস অ্যান্ড পি আমেরিকার রেটিং কমিয়ে দেওয়ায় ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের কাছে আমেরিকার ধারের থেকেও ভারতের দেওয়া এই ঋণ যথেষ্ট বেশি। মার্কিন অর্থ দফতর রবিবার জানিয়েছে, তার প্রথম ১৫টি ঋণদাতা রাষ্ট্রের মধ্যে ঠাঁই পেয়েছে ভারত। ১.১৫ লক্ষ কোটি ডলার ঋণ দিয়ে প্রথম স্থানে আছে চিন।
আমেরিকার ওই বিপুল পরিমাণ ধারের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪.৫ লক্ষ কোটি ডলার। মার্কিন সরকার নিজস্ব ঋণপত্র বিক্রি করে তা সংগ্রহ করেছে। চতুর্দশ ঋণদাতা রাষ্ট্র হিসেবেই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে রয়েছে ৪১০০ কোটি ডলারের ঋণপত্র। সংবাদসংস্থা সংশ্লিষ্ট সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আরও কিছু বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের হাতেও থাকতে পারে এ ধরনের ঋণপত্র।
এই পরিস্থিতিতে স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর্স (এস অ্যান্ড পি) আমেরিকার ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা মান কমিয়ে দেওয়ায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কও উদ্বিগ্ন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। মার্কিন কোষাগারে গচ্ছিত অর্থ ফেরত নিতে তাই ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্কও শীঘ্রই পদক্ষেপ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এস অ্যান্ড পি এই মান ‘এএএ’ থেকে কমিয়ে করেছে ‘এএ+’। যা আমেরিকার ইতিহাসে আগে হয়নি। অথচ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সাধারণত সেই সব সরকারি ঋণপত্রই বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে এবং ডলার অ্যাকাউন্টে রাখে, যেগুলির মূল্যায়ন ট্রিপ্ল এ।
|
ক্ষোভ জানাল ওবামা প্রশাসন |
এএফপির খবর: এস অ্যান্ড পি-র বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় ক্ষোভ জানাল মার্কিন প্রশাসন। তবে ওই মূল্যায়ন সংস্থাও নিজের সিদ্ধান্তের সমর্থনে পাল্টা দাবি জানিয়ে বলেছে, রেটিং-এ তাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা নিরর্থক। যদিও ওবামার প্রাক্তন আর্থিক উপদেষ্টা ল্যারি সামার্স তাদের মূল্যায়ন পদ্ধতির উপরই অনাস্থা জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|