|
|
|
|
দোরগোড়ায় নদী, দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে ভল্লাপাড়ার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
পাড় ভাঙতে ভাঙতে নদী কার্যত পৌঁছে গিয়েছে বাড়ির দোরগোড়ায়। অথচ নদীর পাড় বাঁধানোর ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় রাতের ঘুম উবে গিয়েছে ময়ূরেশ্বর থানার উলকুণ্ডা ভল্লাপাড়ার বাসিন্দাদের। যে কোনও দিন পাড় ভেঙে নদীর গ্রাসে গোটা পাড়া চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর থানার উলকুণ্ডা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ময়ূরাক্ষী নদী। সেই নদীর পাড় লাগোয়া এলাকায় বাস ভল্লাপাড়ার ৩৫টি পরিবারের। অধিকাংশেরই মাটির বাড়ি। প্রতিবছর পাড় ভাঙতে ভাঙতে নদীগর্ভে গোটা পাড়া তলিয়ে যেতে পারে বলে বাসিন্দাদের আশঙ্কা। কাজলী ভল্লা, লক্ষ্মী ভল্লাদের কথায়, “নদীর ধারে বাস বলেই এমনিতে বারোমাসই ভাবনা। তার উপরে নদীর পাড় ভেঙে এমন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যে কোনও দিন ছেলেমেয়েদের নিয়ে তলিয়ে যেতে পারি। আশঙ্কায় রাতে ঘুমোতে পারি না।” মুক্তি ভল্লা, উত্তম ভল্লারা বলেন, “বালির বস্তা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রশাসনের কাছে পাথর দিয়ে পাড় বাঁধানোর আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।” |
|
ছবি: অনির্বাণ সেন। |
স্থানীয় উলকুণ্ডা পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সামসুল আলম মল্লিক বলেন, “সত্যিই ওই পাড়াটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। বছর দু’য়েক আগে সেচ দফতর পাথর দিয়ে পাড় বাঁধানোর জন্য জেলা পরিষদের কাছে ৪০ লক্ষ টাকার প্রকল্প জমা দিয়েছিল। জেলা পরিষদ তা অনুমোদন করেনি বলে শুনেছি।” তাঁর দাবি, “পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আমরাও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বহুবার জানিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বালির বস্তা দিয়ে সাময়িক ভাবে পাড়টিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি।”
সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “সেচ দফতর সম্প্রতি আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ওই এলাকায় তারা বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করবে। বাসিন্দাদের দাবি অনুযায়ী পাথর দিয়ে পাড় বাঁধানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।” জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ বদরোজ্জামান খান বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠালে তা খতিয়ে দেখে অর্থ অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাব।” |
|
|
|
|
|