|
|
|
|
মৃত কর্মীর বকেয়া দাবি করে পুরসভায় হাজির দুই ‘স্ত্রী’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া টাকা নিতে নিজেকে মৃত কর্মীর স্ত্রী বলে দাবি করলেন দুই মহিলা। এক জনের আবার অভিযোগ, ইতিমধ্যে অন্য মহিলাকে টাকা দিয়ে দিয়ে হয়েছে। পুরসভার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, দুই মহিলাকেই আদালতে গিয়ে উত্তরাধিকারের প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। কাউকে এখনও টাকা দেওয়া হয়নি।
বর্ধমান পুরসভার পাম্প চালকের পদে কাজ করতেন রবীন্দ্রনাথ পাল। ৫৬ বছর বয়সে ২৯ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। নিজেকে তাঁর স্ত্রী বলে দাবি করে ৭ ফেব্রুয়ারি পুরসভাকে চিঠি দেন রানু পাল নামে এক মহিলা। সেখানে তিনি জানান, ১৯৭৭ সালে তাঁর বিয়ে হয় রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে। বর্ধমানের আঁকরবাগানে তাঁরা থাকতেন। স্ত্রী হিসেবে মৃত ওই কর্মীর বকেয়া টাকা ও অন্য সযোগ-সুবিধা তাঁরই প্রাপ্য বলে দাবি করেন। রানুদেবী জানান, এর পরেই তিনি জানতে পারেন, সমস্ত টাকা বা সুযোগসুবিধা অন্য এক মহিলাকে দেওয়া হয়েছে। গত ২০ জুন এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে তিনি পুরসভাকে চিঠি দেন।
বর্ধমান পুরপ্রধান আইনূল হক অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা ওই দুই মহিলাকে নিজেদের উত্তরাধিকারের প্রমাণ নিয়ে শুনানিতে হাজির হতে বলেছিলাম। দু’জনের উপস্থিতিতে শুনানিও হয়েছে। তাতে এই অপর মহিলা আরতি পালের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কারণ, মৃতের সার্ভিসবুকে স্ত্রী হিসেবে তাঁর নামই ছিল। তবুও আমরা দু’জনকেই আদালতে গিয়ে নিজেদের দাবি প্রমাণ করতে বলেছি।”
পুরসভার তরফে জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্রনাথবাবুর যে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল, তাতে তিনি ভাতারের বড়বেলুনের বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। আরতিদেবীর ঠিকানাও ভাতারের বড়বেলুন। এ দিকে, রানুদেবীর অভিযোগ, তাঁর ভোটার পরিচয়পত্র, দুই কন্যার পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড-সহ সব কিছুতেই স্বামী ও বাবা হিসেবে রবীন্দ্রনাথবাবুর নাম রয়েছে। তিনিই যে মৃত কর্মীর বৈধ উত্তরাধিকারী, পুরসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়েছেন পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শঙ্করী ঘোষ। রানুদেবীর দাবি, “আরতিকে আমি চিনি না”। অন্য দিকে, আরতিদেবীও বলেন, “রবীন্দ্রনাথবাবুর আমিই একমাত্র স্ত্রী। রানু নামের কাউকে চিনি না।” পুরপ্রধান জানান, এখনও কাউকেই বকেয়া কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। |
|
|
|
|
|