|
|
|
|
তোলাবাজি রুখতে কেতুগ্রামে বৈঠক পুলিশ সুপারের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কেতুগ্রাম |
তোলাবাজি ও দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য রুখতে বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে কেতুগ্রামে বৈঠক করলেন জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। শনিবার বিকেলে কেতুগ্রামের আমগোড়িয়া স্কুল মাঠে বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
কেতুগ্রামের আমগোড়িয়া, কোমরপুর, কান্দরা-সহ বিভিন্ন এলাকায় তোলাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। হচ্ছে গোষ্ঠী সংঘর্ষও। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এমন করছে। এ নিয়ে কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ ও পুলিশ সুপারকে অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই দিন বৈঠক হয়। ছিলেন বিধায়ক, পুলিশ সুপার ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। বৈঠকে কয়েক জনের নাম ধরে হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ সুপার।
কেতুগ্রামের এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, “রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলার বিশেষ উন্নতি হয়নি। ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কোনও দল বা রঙ দেখব না।” তিনি জানান, পুলিশ এর আগে জাহির শেখ, হারা শেখকে গ্রেফতার করেছিল। ভোটের আগে জাহিরের হেফাজত থেকে ১২টি বন্দুকও উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য, জাহির ও হারা দু’জনেই তৃণমূলের নেতা। পুলিশ সুপার বলেন, “মঞ্চের কাছে দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। মন্ত্রীকে মালা পরাচ্ছে। সভা বানচাল হতে পারে বলে আমরা ধরতে পারিনি। তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিন কয়েক আগে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে বামুনডিহি গ্রামে সংবর্ধনা দেয় তৃণমূল। সেখানকার তৃণমূল নেতা সাউদ মিঞা মন্ত্রীকে মালা পরান। সাউদের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সুপার তৃণমূলের কেতুগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি রত্নাকর দে-কে ভর্ৎসনা করে বলেন, এ সব দুষ্কৃতীকে মদত দেবেন না। তৃণমূল বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ বলেন, “গ্রামে শান্তি বজায় রাখতে হবে। যারা অশান্তি ছড়াচ্ছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে।”
এ দিকে, বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের মদতেই এমন দুষ্কৃতীরাজ চলছে। ২০১০ সালের ৬ জুন রিপন শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। তাঁর বাবা নূর আলম শেখের অভিযোগ, “ওই ঘটনায় অভিযুক্তেরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। পুলিশ ধরছে না।” সিপিএমের দাবি, গ্রামের প্রায় ১৩০ জন ঘরছাড়া। প্রশাসনে বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানালেও ফল হয়নি। দলের ভাগীরথী-অজয় জোনাল কমিটির সদস্য তপন কাজি এ দিনের বৈঠক সম্পর্কে বলেন, “তৃণমূল নেতাদের নিয়ে পুলিশ সুপার গ্রামের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আমরা জানতামই না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতেই পুলিশ সুপারকে নিয়ে এ ধরনের বৈঠক করল তৃণমূল।”
শনিবার এই বৈঠকের পরেই কেতুগ্রামের চিনিসপুর থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে অভিযুক্ত আট জনকে পুলিশ ধরে। তবে রবিবার ফের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অশান্তি হয় চিনিসপুরের পাশের গ্রাম বিরুরিতে। |
|
|
|
|
|