একটি কাপড়ের দোকানের গুদামে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল আসানসোল বাজার এলাকায়। রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে আনে। আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান এলাকার বাসিন্দারাও। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দোপাধ্যায়। হতাহতের কোনও খবর নেই। আসানসোল দমকলের ওসি সেলিম জাভেদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। কাপড়ের দোকান ও গুদামের মালিককে এ দিন পাওয়া না যাওয়ায় তাঁদের মতামত জানা যায়নি। |
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ আসানসোল বাজারের ঘাঁটি গলির একটি অভিজাত কাপড়ের দোকানের গুদামের দরজা থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই খবর পাঠানো হয় আসানসোলের দমকলে। অল্প সময়ের মধ্যেই দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে চলে আসে। কিন্তু জল ছেটানোর কাজ শুরু করার আগেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। ইতিমধ্যেই এলাকার বেশ কিছু যুবকও আগুন নেভানোর কাজে দমকলকে সাহায্য করতে শুরু করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে অল্প সময়ের মধ্যেই প্রথম ইঞ্জিনের জল শেষ হয়ে যায়। এরপর রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুর থেকে আরও তিনটি দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। একটি ইঞ্জিন আসে ইস্কো কারখানা থেকেও। একের পর এক প্রতিটি ইঞ্জিন থেকে জল ছেটানোর কাজ শুরু হয়। রাতের দিকে আগুন পুরোপুরি আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়। |
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাঝে মাঝে ইঞ্জিনের জল শেষ হয়ে যাওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ বিঘ্নিত হয়েছে। তাছাড়া আসানসোল দমকল কর্মীদের যতটা তৎপরতা দেখানো উচিত ছিল তাঁরা তা দেখাননি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আসানসোলের দমকলের পরিকাঠামোরও আরও উন্নতি করতে হবে। এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে না এলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত। তাঁর কথায়, “ওই গুদামে ও কাপড়ের দোকানটিতে উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে।” |