|
|
|
|
বিওজিএলে চুরি করতে এসে ধরা পড়ল ৮ দুষ্কৃতী
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
ভারত অপথ্যালমিক গ্লাস লিমিটেড (বিওজিএল) কারখানায় চুরি করতে এসে ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদের ৮ দুষ্কৃতী-সহ ১০ জন। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ একটি পাইপগান, দু’রাউন্ড গুলি, ভোজালি ও রড উদ্ধার করে।
দুর্গাপুরের বাসিন্দারা বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা কারখানাগুলি থেকে জিনিসপত্র চুরি যাচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ করেছেন। মাসখানেক আগে আর এক বন্ধ কারখানা হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন লিমিটেড (এইচএফসিএল) থেকে লোহা পাচারের সময় পুলিশের হাতে ধরা যায় বীরভূমের ৫ দুষ্কৃতী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিওজিএল কারখানার মালপত্র পাচারের জন্য দুষ্কৃতীরা কারখানার পিছনে জড়ো হয়েছে জানতে পেরে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। ধরা পড়ে ১০ জন। বাকি ৫ জন পালিয়ে যায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মালপত্র পাচারের জন্য ওই দুষ্কৃতীরা একটি লরি ভাড়া করে নিয়ে এসেছিল। ধৃত ১০ জনের মধ্যে ৮ জন দুষ্কৃতীর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা থানা এলাকায়। বাকি দু’জন লরির চালক ও খালাসি।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করেছে বিওজিএল কারখানার মালপত্র সরিয়ে ফেলতেই তারা এসেছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, স্থানীয় দুষ্কৃতীরাও ওই দলে ছিল। কিন্তু পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা চম্পট দেয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য মিলবে বলে পুলিশের আশা।
অন্য দিকে, এইচএফসিএল কারখানা থেকেও নিয়মিত মালপত্র সরায় দুষ্কৃতীরা। আগে দু-এক জন ধরাও পড়ে। ২ জুলাই লোহা পাচারের সময় হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৫ দুষ্কৃতী। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দু’টি মোবাইল ও প্রায় নগদ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
দুর্গাপুরের বন্ধ কারখানা থেকে লোহার যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলার অভিযোগ বহু দিনের। তবে এইচএফসিএল-র মতো এই ঘটনাতেও বাইরের জেলার দুষ্কৃতীরা জড়িত থাকায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশের। এর আগেও ফরিদপুর (লাউদোহা) থানা এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে বীরভূমের বহু দুষ্কৃতী।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের পাশাপাশি অন্য জেলার দুষ্কৃতীরাও যে দুর্গাপুর ও সংলগ্ন অঞ্চলে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটাচ্ছে তাতে পুলিশ উদ্বিগ্ন। তবে পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “তদন্তে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় দুষ্কৃতীরাই বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের ডেকে নিয়ে এসে কাজ করায়।” |
|
|
|
|
|