|
|
|
|
|
মঙ্গলে জলের ধারা
পাওয়া গেল উপগ্রহ চিত্রে |
|
সংবাদসংস্থা • ওয়াশিংটন |
মঙ্গল গ্রহে নোনা জলের প্রবাহ! তাও আবার ঋতু অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। অন্তত এমনটাই দাবি নাসার বিজ্ঞানীদের। বহু দিন আগেই মঙ্গলের মেরুতে বরফের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তা ছিল মঙ্গলের পৃষ্ঠের অনেক গভীরে। ওই গ্রহে প্রাণের সন্ধানে নাসার তরফে একটি উপগ্রহ পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি সেই উপগ্রহে পাঠানো চিত্রের পর্যালোচনা করে নাসা এই দাবি করেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলপৃষ্ঠের দক্ষিণ গোলার্ধের খাদে আঙুলের মতো কিছু জলের রেখা দেখা গিয়েছে। কয়েক মাস আগে ওই গ্রহে যখন শীতকাল চলছিল তখন ওই রেখাগুলি খুব হাল্কা ছিল। কিন্তু গত দু’মাস ধরে সেখানে গ্রীষ্মকাল চলছে। এবং চিত্রে রেখাগুলিকে আরও গভীর ও দীর্ঘ (প্রায় ২০০ মিটার) দেখিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই রেখাগুলি ক্রমশ ঢালের দিকে নামছে। |
|
উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে মঙ্গল গ্রহে জলের প্রবাহ।এএফপি |
নাসার বিজ্ঞানীদের মতে এগুলি সম্ভবত নোনা জলের প্রবাহের চিহ্ন। উপগ্রহ চিত্রে জলের দেখা না মিললেও বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলপৃষ্ঠের গরম তাপমাত্রায় সেই জল বাষ্পীভূত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গভীরে হয়তো জলের ধারাবাহিক প্রবাহ চলছে। তাঁদের এই আবিষ্কারের বিষয়ে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ প্রকাশিত হয়েছে।আর এই আবিষ্কারেই হইচই পড়ে গিয়েছে দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীমহলে। তাঁদের আশা, মঙ্গলে জলের ধারার প্রমাণ পাওয়া গেলে সেখানে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লুজেন্দ্র ওঝা বলেন, “মাত্র দু’মাসে জলের রেখার দৈর্ঘ্য এতটা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে প্রাণ থাকার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।” তবে শুধুমাত্র ওই একটা জায়গাতেই কেন জলের রেখা দেখতে পাওয়া গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই তাঁরা এই রহস্যের সমাধান করতে পারবেন বলে আশা করছেন। |
|
|
|
|
|