|
|
|
|
নিকাশি নেই, বৃষ্টি হলেই হাঁটুজল জমে স্কুল চত্বরে |
গৌর আচার্য • রায়গঞ্জ |
স্কুলে নিকাশি নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই স্কুল চত্বরে এক হাঁটু জল দাঁড়িয়ে যায়। স্কুলের নিজস্ব খেলার মাঠ নেই। স্কুল চত্বর পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নয়। শ্রেণিকক্ষ, শৌচাগার ও শিক্ষকেরও অভাব রয়েছে স্কুলে। এরকমই নানা সমস্যায় জর্জরিত রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষচন্দ্র হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে বার বার সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসন, শিক্ষা দফতর ও জন প্রতিনিধিদের জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। ফলে স্কুলের পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ। রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ সরাসরি আমার সঙ্গে দেখা করে লিখিতভাবে সমস্যার কথা জানালে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।” উত্তর দিনাজপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক রেজানুল করিম তরফদার বলেন, “স্কুলের নানা সমস্যার কথা আমি জানি। কীভাবে সমাধান করা যায় তা দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।” |
|
ছবি: তরুণ দেবনাথ। |
বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ দুর্গেশ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ১০০ দিনের প্রকল্পে মাটি ফেলে স্কুল চত্বর উঁচু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।” বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়াও আশেপাশের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পড়ুয়ারা সুভাষগঞ্জ হাইস্কুলে পড়াশোনা করে। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ২ হাজার ৬৫ জন। ২৮ জন শিক্ষক ও ৫ জন শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। স্কুলের মোট ক্লাসরুমের সংখ্যা ১৫টি। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই স্কুল চত্বরে এক হাঁটু জল দাঁড়িয়ে যায়। এই অবস্থায় জল, কাঁদা ভেঙ্গে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের স্কুলে যেতে হয়। মিড ডে মিল চালাতেও অসুবিধেও পড়তে হচ্ছে। মাঠ না থাকায় খেলাধূলার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। সীমানা পাঁচিল না থাকায় স্কুলের বিভিন্ন ক্লাস রুম থেকে একাধিক ফ্যান চুরির ঘটনাও ঘটেছে। সন্ধ্যার পর স্কুল চত্বরে মদ, জুয়ার আসরও বসে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও পরিকাঠামোর অভাবে অনেক ছাত্রছাত্রীকে বারান্দায় বসে ক্লাস করতে হয়। প্রতিটি সেকশনে ১০৩ থেকে ১৯৮ জন করে ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। শ্রেণিকক্ষে ৮০ জনের উপরে ছাত্রছাত্রীর বসার পরিকাঠামো নেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঋষিকেশ কান্তি রায় বলেন, “নানা সমস্যার কারণে স্কুলের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন চালাতে সমস্যা হচ্ছে। পড়ুয়ারা বিপাকে পড়েছে। বার বার সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসন, শিক্ষা দফতর ও জল প্রতিনিধিদের জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি।” স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য সুব্রত ঘোষ বলেন, “স্কুলের সামগ্রিক সমস্যার কথা সমিতির তরফে জেলা ও ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।” |
|
|
|
|
|