|
|
|
|
খুশি আলিপুরদুয়ারবাসী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
মহকুমাকে পৃথক জেলা ঘোষণার বিষয়ে আলোচনায় আশার আলো দেখছেন আলিপুরদুয়ারবাসী। বুধবার মহাকরণে সবর্দল বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত নতুন জেলা গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান তার মধ্যে আলিপুরদুয়ারের নাম উল্লেখ করায় খুশি এলাকার বিধায়ক থেকে পুর চেয়ারম্যান সকলেই। প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল দাসকে এ দিন আবির মাখান আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সদস্যরা। বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, “৩৪ বছরের বাম শাসনে আলিপুরদুয়ার মহকুমাকে পৃথক জেলা ঘোষণার দাবি উঠলেও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রথম সরকারের তরফে আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলার মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনা শুরু করায় তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” ১৯ অগস্ট বিধানসভায় সর্বদল বৈঠকে ফের আলিপুরদুয়ার-সহ ৬টি জেলা গঠন ও রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়ে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অবশেষে আলিপুরদুয়ার মহকুমাকে পৃথক জেলা ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। আলিপুরদুয়ার জেলার মর্যাদা পেলে মহকুমা হাসপাতাল জেলা হাসপাতালের মর্যাদা পাবে। উপকৃত হবেন কয়েক লক্ষ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হওয়ায় কোনও অশুভ শক্তি আলিপুরদুয়ারকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।” অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসুর মতে, বাসিন্দাদের স্বপ্ন বাস্তবের রূপ নিতে চলছে। তিনি বলেন, “এ দিন আমরা আলিপুরদুয়ার কলেজ হল্ট এলাকায় আবির খেলেছি। আরএসপি’র প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল দাসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আবির মাখিয়েছি।” আলিপুরদুয়ার জেলা নির্মাণ দাবি মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক নির্মল দাস বলেন, “জেলা নির্মাণ দাবি মঞ্চের পক্ষ থেকে ৫ অগস্ট মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য কলকাতায় যাচ্ছি।” তৃণমূল রাজ্য সহ সভাপতি জহর মজুমদার বলেন, “২০০৬ সালে মমতা বলেছিলেন আলিপুরদুয়ার মহকুমাকে জেলা ঘোষণার প্রয়োজন রয়েছে। তা বাস্তব রূপ নিতে চলেছে।” আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে জানিয়েছেন, জেলা নিয়ে আলোচনায় আলিপুরদুয়ারের নাম ওঠায় তাঁরাও আশাবাদী। |
|
|
|
|
|