মানস-গৌতম বৈঠক
বরাদ্দ কম নদীবাঁধের মেরামতিতে
ন্যা রুখতে যে সব কাজ করা জরুরি তার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ না-মেলায় উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও দার্জিলিং জেলার বেশির ভাগ নদীতেই বন্যা প্রতিরোধের কাজ করতে হচ্ছে কমিশনকে। মরসুমের গোড়ায় প্রায় ১১ কোটি টাকার কমিশনের চেয়ারম্যান খাতে পাওয়া গেলেও সেই টাকা ইতিমধ্যেই ব্যয় হয়ে গিয়েছে। বন্যাপ্রবণ তিন জেলার নদী বাঁধের মেরামতি এবং ভাঙন ঠেকাতে আরও বরাদ্দ চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। তবে সেই টাকা এখনও না-মেলায় উদ্বিগ্ন কমিশন। আগামীকাল, ৫ অগস্ট সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া উত্তরবঙ্গে এসে সেচকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন। আপাতত সেই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কমিশনের কর্তারা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, “বন্যা রোধের কাজ যাতে অর্থাভাবে থমকে না-যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। আমিও মানসবাবুর সঙ্গে কথা বলব।” তিন জেলা মিলে প্রায় ৫০টি নদী বাঁধকে ‘বিপজ্জনক’ তালিকায় রেখেছে কমিশন। টাকার অভাবে সব বাঁধে কাজ করানো সম্ভব হয়নি বলে সেচ দফতর সুত্রে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, “তিন জেলাতেই ভাঙন রয়েছে। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে তুলনামুলক বেশি। সেচমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে বৈঠকে আসছেন। বিস্তারিত ভাবে তাঁর কাছে সব তথ্য তুলে ধরা হবে।” উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান বরণ ঘোষ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই অর্থের সমস্যাটি রয়েছে। রাজ্যের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তবে যে পরিকাঠামো রয়েছে তাতে তিন জেলাতেই কাজ শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।” বর্ষার মরসুমের মাঝামাঝি কোচবিহার শহর রক্ষাকারী নদী বাঁধ থেকে শুরু করে সেবকের চুমুকডাঙি, মালবাজারের নিউল্যান্ড, সুভাষিণী চা বাগানে ভাঙন শুরু হয়েছে। রেতি সুক্রিতি, তোর্সা, কালজানি, ডায়না, জলঢাকা ও তিস্তার মতো নদীগুলির সর্বত্রই ছোট বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী বাঁধগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেবকের কাছে চুমুকডাঙিতে তিস্তা নদী বাঁধের দুটি স্পারের অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার সুজিত বসু অনান্য আধিকারিকদের নিয়ে বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন পরিদর্শন করে রিপোর্ট তৈরি করেন। সেই রিপোর্টে মেখলিগঞ্জ শহর ও জলপাইগুড়ি শহর রক্ষাকারী তিস্তা নদীর বাঁধের স্পার এবং বাঁধের অংশে ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতে অর্থের অভাব মূল সমস্যা বলে কমিশন সুত্রে জানা গিয়েছে। কমিশনের নির্বাহী সদস্য ধীরাজ ধর বলেন, “আলিপুদুয়ার সেচ বিভাগ অতি বন্যাপ্রবণ। সেখানে কিছু কাজ করতে হচ্ছেই। কোচবিহারেও তোর্সা-সহ অন্যান্য নদীতে ভাঙন চলছে। জলপাইগুড়ি শহরের অদুরে রঙধামালিতেও ভাঙন নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রথমে যে টাকা পাওয়া গিয়েছিল তা দিয়ে কাজ হয়েছে। মরসুম শুরুর পরে নতুন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। আরও বরাদ্দ পাওয়ার জন্য রাজ্যকে বলা হয়েছে।”
ময়াল উদ্ধার। মুরগি খেতে গিয়ে ধরা পড়ল পাইথন। সকালে বুধবার গরুমারার জঙ্গল লাগোয়া দক্ষিণ ধূপঝোড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আবু আলমের বাড়ির উঠোনে পাইথনটি মুরগির পেছনে ধাওয়া করে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে পাইথনটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.