|
|
|
|
আন্দোলনে কংগ্রেস |
জাতীয় সড়ক মেরামতির দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নকশালবাড়ি-গলগলিয়া বেহাল ৩১ সি জাতীয় সড়ক মেরামতির দাবিতে আন্দোলনে নামল কংগ্রেস। বুধবার নকশালবাড়ি অঞ্চল কংগ্রেসের ডাকে স্কুলডাঙি এলাকায় বেলা ১১টা থেকে টানা এক ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের জেরে এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। বেহাল রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে নাকাল নিত্যযাত্রীরা অনেকেই কংগ্রেসের অবরোধ আন্দোলনকে সমর্থন জানান। কংগ্রেসের অভিযোগ, বর্ষার আগেই রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়েছিল। বাগডোগরা লাগোয়া সন্ন্যাসীস্থান, কেষ্টপুর, কিরণচন্দ্র, হাতিঘিষা, অটল, স্কুলডাঙি, রথখোলা, ভালুগাড়া, গলগলিয়া-সহ গোটা রাস্তায় রাস্তায় যান উল্টে যাওয়া, দুর্ঘটনা প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের ৯ নম্বর ডিভিশনের কর্তাদের বলার পরেও মেরামতির ব্যবস্থা হচ্ছে না। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে কংগ্রেস নেতারা অবরোধ তুলে নিলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না-হলে যান বন্ধ করে আন্দোলনে নামা হবে বলেও এদিন হুমকি দেন কংগ্রেসের নেতারা। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লক কংগ্রেস নেতা পৃত্থীশ রায় বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসিন্দাদের চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তা মেরামতির ক্ষেত্রে কোথায় বাধা স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না পূর্ত আধিকারিকেরা। এই ধরনের গাফিলতি সহ্য করা হবে না।” নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বন কর্মাধ্যক্ষ তথা কংগ্রেস নেতা সুনীল ঘোশ বলেন, “পূর্তমন্ত্রীকে এই রাস্তায় বেহাল পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। তার পরেও কাজ না-হলে আন্দোলন হবে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।” পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের ৯ নম্বর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র নির্মল মণ্ডল সাত দিনের মধ্যে রাস্তা মেরামতির আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “বর্ষার আগে রাস্তা মেরামতির প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাগডোগরা থেকে গলগলিয়া পর্যন্ত চারটি পর্যায়ে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মেরামতি হবে।” তিনি জানান, সাত দিনের মধ্যে কেবল গর্ত বোজানোর কাজই হবে। বর্ষা থামলে পিচ হবে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরে রাস্তাটি এমনই বেহাল হয়ে রয়েছে। গর্তের সংখ্যা বেড়ে গেলে পিচ পাথর দিয়ে বুজিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই রাস্তা ফের বেহাল হয়ে পড়ে। পূর্ত দফতর সূত্রেও জানা গিয়েছে, রাস্তাটি আগাগোড়া ভাল ভাবে মেরামত করার কাজ হয়েছিল অন্তত সাত বছর আগে। তার পর কেবল মেরামতির জন্যই বরাদ্দ মিলেছে। অথচ বিহারের সঙ্গে এই রাজ্যের পণ্য আমদানি, নেপাল থেকে বাংলাদেশে পণ্য পাঠানো হয় এই রাস্তা উপরে নির্ভর করে। গত বছর তাঁরা কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরে ৪৫ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু ওই প্রস্তাব মঞ্জুর হয়নি। ২০১১-১২ আর্থিক বছরে নতুন করে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর প্রস্তাব চেয়ে পাঠায়। পূর্ত দফতর জাতীয় সড়ক বিভাগে ৯ নম্বর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “আশা করছি, এ বার বরাদ্দ মিলবে। তা হলে গোটা রাস্তাটি শক্তপোক্ত ভাবে ফের তৈরি করা হবে।” |
|
|
|
|
|