|
|
|
|
‘সৌজন্যহীন’ নিচু তলায় হানাহানি অব্যাহত, নিহত ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজনীতির শীর্ষ স্তরে যখন সৌজন্যের বাতাবরণ, নিচু স্তরে তখনও সমানে ঘটে চলেছে হানাহানির ঘটনা। সমানে একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছেন শাসক ও বিরোধী পক্ষ। কোথাও কোথাও মারধরের অভিযোগ উঠছে শাসক শরিকদের মধ্যেই।
বুধবার বর্ধমানের রানিগঞ্জের ষষ্ঠীগড়িয়ায় তৃণমূল কর্মীদের ‘নিগ্রহে’ অসুস্থ হয়ে দলের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। মৃত তাপসকুমার মজুমদার (৫৪) স্থানীয় বাসিন্দা। এলাকার প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলরও। এ দিনই রাতে নদিয়ার ধনেখালির গুড়বাড়ি গ্রামে বিজেপির কয়েক জন (যাঁরা সম্প্রতি সিপিএম ছেড়েছেন বলে অভিযোগ) সমর্থকের হামলায় তাঁদের দলের দু’জন কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ষষ্ঠীগড়িয়ায় ওই কংগ্রেস নেতার বাড়ির পাশে দলের কার্যালয় গড়ার কাজ শুরু হয়। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক নির্মীয়মাণ কার্যালয়ের কাছে জড়ো হন। তাঁরা দাবি করেন, ওই কার্যালয় গড়তে গিয়ে একটি নিকাশি নালা কার্যত বন্ধ করা হচ্ছে। ‘ওই ভাবে’ কংগ্রেসের কার্যালয় গড়া যাবে না। দুই শরিকের কর্মীদের মধ্যে বচসা বাধে। তাপসবাবুর স্ত্রী কণিকা মজুমদারের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে গেলে ‘ধাক্কা’ মারা হয় তাপসবাবুকে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। নার্সিংহোমে বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তথা আসানসোলের ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম সন্ধ্যায় রানিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন, তৃণমূল কর্মীদের ‘নিগ্রহে’ই তাপসবাবুর মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূলের রানিগঞ্জ ব্লক সভাপতি, পেশায় চিকিৎসক সেনাপতি মণ্ডল বলেন, “উনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তবে আমাদের কর্মী ওঁর সঙ্গে ঝামেলা করেছেন, জানা নেই।” পুলিশ জানায়, তদন্ত হচ্ছে। নদিয়ার ধনেখালির গুড়বাড়ি গ্রামে আবার বিজেপি সমর্থকদের হামলায় তৃণমূলের দুই কর্মী জখম বলে অভিযোগ। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হামলাকারীদের অনেকেই সিপিএম ছেড়ে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কয়েক জন আবার তৃণমূল সমর্থক ক্ষুদিরাম হেমব্রম খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। এ দিন তাঁরা বিজেপির রাজ্য নেতা তথাগত রায়ের উপস্থিতিতে গ্রামে ফেরেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি তপন দাশগুপ্তের অভিযোগ, “এ দিনই সিপিএমের ওই হার্মাদরা বিজেপিতে যোগ দেন। গ্রামে ফিরে আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করেন। তাদের মধ্যে খুনে অন্যতম অভিযুক্ত গুড়বাড়ি পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান লালু হাঁসদাও ছিলেন।” জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক স্বপন পাল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানায়, গ্রামে কয়েক জন তৃণমূল কর্মীর উপরে হামলার খবর মিলেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশেষ বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে। |
|
|
|
|
|