|
|
|
|
মাওবাদীরা ‘উগ্রপন্থী’, আদালতে সরকারপক্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাওবাদী বন্দিদের ‘উগ্রপন্থী’ বলে আদালতে অভিহিত করলেন সরকারি আইনজীবী। তাঁদের রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা পাওয়ারও বিরোধিতা করলেন। বুধবার আলিপুর আদালতে মাওবাদী সন্দেহে ধৃত কয়েক জনের রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানেই সরকারপক্ষের আইনজীবী ওই মন্তব্য করেন। এর পরেই বন্দিদের পক্ষের আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, মাওবাদী-সহ রাজনৈতিক কারণে ধৃতদের রাজবন্দির মর্যাদা দেওয়া ও তাঁদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এ জন্য রিভিউ কমিটিও গড়া হয়েছে। অথচ আদালতে যখনই রাজনৈতিক মর্যাদার জন্য আবেদন করা হচ্ছে, তখনই সরকারপক্ষ বিরোধিতা করছে। সরকারের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে।
গত বছর ২৯ জুন গ্রেফতার হন হলদিয়ার বাসিন্দা মধুসূদন মণ্ডল। এই মধুসূদনই নারায়ণ বা সেলিম নামে সিপিআই (মাওবাদী)-র নন্দীগ্রাম জোনাল কমিটির সম্পাদক হিসাবে জমি আন্দোলন-পর্বে সক্রিয় ছিলেন বলে দাবি সিআইডি-র। গ্রেফতার হন মধুসূদনের সঙ্গী সঞ্জয়, সিদ্ধার্থ মণ্ডল, রাধেশ্যাম দাস এবং শচিন ঘোষাল। আইনজীবী শুভাশিস রায় এই ৫ জনের জন্য ‘রাজনৈতিক বন্দি’র মর্যাদা চেয়ে সম্প্রতি আবেদন করেন আদালতে।
বুধবার আলিপুরের দশম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সেই আবেদনের শুনানির সময়ে সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ বলেন, “এঁরা উগ্রপন্থী। সরকার এঁদের রাজবন্দির মর্যাদা দেওয়ার বিরোধী।” বন্দিদের পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল অসম্পূর্ণ থাকায় বুধবার কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। শুভাশিসবাবুর বক্তব্য, মাত্র কয়েক দিন আগে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মাওবাদী সন্দেহে গত ডিসেম্বরে ধৃত সুদীপ চোংদার-সহ ৫ জনের রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানেও সরকার পক্ষের আইনজীবী বিরোধিতা করেন। শেষ পর্যন্ত বিচারক অবশ্য সুদীপদের আবেদন মঞ্জুর করেন। শুভাশিসবাবুর বক্তব্য, “সরকারপক্ষের ঘোষণা এবং বাস্তব আচরণের মধ্যে ফারাক থেকে যাচ্ছে। নানা সংশয়ও তৈরি হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|