|
|
|
|
অধিকর্তার আশ্বাসে ধর্মঘট উঠল পলিটেকনিক কলেজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বান্দোয়ান ও পুরুলিয়া |
শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি কলেজের পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন করা হবে। বুধবার রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা অধিকর্তা পারিজাত দে-র কাছ থেকে এই আশ্বাস পাওয়ার পরে বুধবার বান্দোয়ান পলিটেকনিক কলেজে ধর্মঘট তুলে নিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু এ দিন জেলায় এসেও পুরুলিয়া পলিটেকনিক কলেজে অধিকর্তা না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ সেখানকার আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, ধাতুবিদ্যা বিভাগে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গত ২৪ জুলাই থেকে ক্লাস বয়কট করে ছাত্র-আন্দোলন চলছে পুরুলিয়া পলিটেকনিকে। দফতরের অধিকর্তা এ দিন সকালে প্রথমে বান্দোয়ান পলিটেকনিকে যান। ওই কলেজটিও দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় ধুঁকছে। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকাঠামোর মান ঠিক না থাকায় চলতি শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া ভর্তি বন্ধ রেখেছে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)। এই অবস্থায় কলেজের স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষকেরা। তাঁরা জেলাশাসক এবং কারিগরি শিক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হন।
ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার প্রতিবাদে সোমবার থেকে ওই কলেজে ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। কারিগরি শিক্ষা অধিকর্তা বলেন, “চলতি শিক্ষাবর্ষে এখানে ছাত্রভর্তি বন্ধ রয়েছে। তবে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া ভর্তি চালু থাকবে। সেই সঙ্গে কলেজের নতুন ভবনের কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় তা দেখতে বলেছি। আপাতত দ্বিতীয় ও তৃথীয় বর্ষের পড়ুয়ারা পুরুলিয়ায় গিয়ে ক্লাস করবেন। বান্দোয়ান কলেজে পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা চলছে।” বান্দোয়ান পলিটেকনিকের টিচার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ বিশাল বলেন, “অধিকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন, কলেজ স্বাভাবিক ভাবে চালু থাকবে।”
বান্দোয়ান থেকে সোজা পুরুলিয়ায় আসার কথা ছিল পারিজাতদেবীর। কিন্তু দুপুরে আন্দোলনকারীরা জানতে পারেন অধিকর্তা পুরুলিয়া পলিটেকনিকে আসবেন না। ধাতুবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়া প্রদীপ মহাদানি, দেবদত্তা দত্ত, সুজন নায়কদের কথায়, “আমাদের সমস্যার কথা বিশদে ওঁকে জানাব বলে আমরা তৈরি ছিলাম। সে জন্যই আমরা আগের দিন আন্দোলন তুলে নিয়েছিলাম। কিন্তু এ দিন দুপুরে শুনলাম উনি আসবেন না।” এই খবরে ছাত্রছাত্রীরা ফের ক্লাস বয়কট শুরু করেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, পুরুলিয়া স্টেশনে গিয়ে অধিকর্তাকে ঘেরাও করা হবে। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের স্টেশনে পৌঁছে ট্রেন ওঠার আগে পারিজাতদেবীকে প্ল্যাটফর্মেই ঘিরে ধরেন পড়ুয়ারা। সমস্যা দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দেন অধিকর্তা।
পরে পুরুলিয়া পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ লালবাহাদুর সিংহ বলেন, “বান্দোয়ানে অনেকটা সময় চলে যাওয়ায় তিনি সময়াভাবে এখানে আসতে পারেননি। তবে উনি আমাকে দু’জন আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করার অনুমতি দিয়েছেন। আর ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস আসানসোলে গিয়ে করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।” ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ, এই জন্যই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। এখন ফের আসানসোলে গিয়ে ক্লাস করতে হবে। অধ্যক্ষের কথায়, “এটা সমস্যার তো বটেই।” যদিও এই সমস্যার সুরাহা কী ভাবে হবে, তার সদুত্তর মেলেনি কোনও মহল থেকেই। |
|
|
|
|
|