|
|
|
|
প্রয়াগ ইউনাইটেডের শুরুতেই চমক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এখনও যা নিয়ে দ্বিধায়, প্রথম দিনই তা করে ফেলল প্রয়াগ ইউনাইটেড। ইয়াকুবু-জোসিমারদের দলের জন্য থিম সং তৈরি করে ফেললেন তবলিয়া বিক্রম ঘোষ। বুধবার মধ্য কলকাতার একটি পাঁচ তারা হোটেলে সরকারি ভাবে গাঁটছড়া বাঁধার দিনই সেটি প্রকাশ করা হল। ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় একটি রেডিওর জন্য থিম সং গেয়েছিলেন বিক্রম। ফুটবলের জন্য এই প্রথম। ‘চল খেলব ফুটবল...’ গেয়ে বিক্রম বললেন, “আশা করি গানটা গ্যালারিকে আন্দোলিত করবে।”
|
|
প্রয়াগ ইউনাইটেডের নতুন জার্সি হাতে ইয়াকুবু। -নিজস্ব চিত্র। |
থিম সং ছাড়া চমক হল, এই প্রথম কোনও ক্লাবে টেকনিক্যাল কো অর্ডিনেটর হল কলকাতায়। প্রাক্তন তারকা কৃষ্ণেন্দু রায় পেলেন এই দায়িত্ব। স্পনসরদের তরফে তিনিই ইউনাইটেডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। কৃষ্ণেন্দু বলেন, “আশা রাখছি, পরের বার ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানকে টপকে যাব।”
১২ অগস্ট থেকে নতুন মরসুমের অনুশীলন শুরু হবে প্রয়াগ ইউনাইটেডের। তার নয় দিন আগে আই লিগের ক্লাবটি স্পনসর পেল ছয় বছরের চুক্তিতে। প্রথম বছরই প্রায় ছয় কোটি টাকা দিচ্ছে প্রয়াগ। প্রতি বছর তা বাড়বে এক কোটি করে। বেগুনি-হলুদে তৈরি জার্সির রঙ বদল না হলেও লোগো বদলে যাচ্ছে ইউনাইটেডের। সালগাওকর থেকে এ দিনই তাদের দলে সই করা ইয়াকুবুর হাতে ক্লাবের নতুন লোগো-সহ জার্সি তুলে দিয়ে প্রয়াগ গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বাসুদেব বাগচি বললেন, “ফুটবলের প্রতি ভালবাসার টানেই আমরা স্পনসর হলাম। জঙ্গলমহল-সহ তিনটি ফুটবল অ্যাকাডেমিও তৈরি করছি।” গোল পোস্ট, বল দিয়ে সাজানো মঞ্চে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস এবং সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত। জরুরি কাজে আটকে যাওয়ায় আসতে পারেননি শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। দু’জনেই অনুষ্ঠান চলার সময় ফোন করেন প্রয়াগ কর্তাদের। দু’জনেই জানিয়ে দেন, বাংলার ফুটবলের উন্নতির জন্য প্রয়াগ ইউনাইটেডকে যে কোনও সাহায্য করতে প্রস্তুত তাঁরা। |
|
|
|
|
|